চট্টগ্রাম অঞ্চলে ট
এতে দাম এতটাই কমে গেছে পাইকারিতে কেজি দুই টাকা দরেও টমেটো কেউ কিনছেন না। তাই ক্ষেত থেকে টমেটো তুলে ছয় কিলোমিটার দূরে চকরিয়ায় আড়তে নিলেও ভ্যানভাড়ার খরচও ওঠে আসে না। এ অবস্থায় স্থানীয় বাজারে নামমাত্র দামে বিক্রি করে দিচ্ছি কিছু টমেটো।’ চকরিয়া কৃষি অফিস জানায়, চকরিয়ায় শুধু শীতকালীন টমেটোর আবাদ হয়। গ্রীষ্মকালীন কিংবা বর্ষাকালীন চাষাবাদ হয় না। এবার উপজেলার ৬৪০ হেক্টর জমিতে ২৫ হাজার ৮০০ টন টমেটোর ফলন হয়েছে। হেক্টরপ্রতি ফলন ৪০ মেট্রিক টন।’ ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষকের আর্থিক ক্ষতির হিসাব উপজেলা ও ইউনিয়নের কৃষি কর্মকর্তা কিংবা কৃষি অফিসের কাছে নেই। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক উল্লাহ বলেন, ‘ক্ষেতে টমেটো নষ্ট হওয়ার তথ্য আমার কাছে নেই।’ পরে চকরিয়ার কাকারা ইউনিয়নের তথ্য দিলে তিনি বলেন, ‘যাঁরা দেরিতে টমেটো চাষ করেছেন, তাঁরা হয়তো সঠিকভাবে বাজারজাত করতে না পারায় ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না। তবে আগাম যাঁরা করেছেন তাঁরা ভালো দাম পেয়েছেন। এ জন্য এখানে আমরা আগাম চাষ এবং একটি হিমাগার স্থাপনের জন্য চিঠি দিয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে।’
তবে সরকারিভাবে হিমাগার স্থাপনের কোনো পরিকল্পনার কথা জানা নেই চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আমিনুল হক চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘শীতকালীন মৌসুমে প্রাথমিক হিসাবে চট্টগ্রামে ৫০ হাজার টন টমেটো উত্পাদিত হয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ টমেটোর চাহিদা একসঙ্গে না থাকায় দাম কমে গেছে। এ জন্য বেসরকারি উদ্যোগে হিমাগার স্থাপন করতে অনেককেই বলেছি।’ ‘কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শুধু প্রযুক্তি দিয়ে উত্পাদন বাড়ার কৌশল নেয়। প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে না। ফলে সেটি নিয়ে আমাদের ভাববার সুযোগ কম।’ যোগ করেন আমিনুল হক চৌধুরী। এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, উত্পাদন না থাকায় একমাস পরই বাজারে টমেটোর সংকট সৃষ্টি হবে। জুন মাসে রমজান শুরুর আগে হু হু করে বাড়বে টমেটোর দাম। তখন কেজি ১০০ টাকা দরেও কিনতে বাধ্য হন ক্রেতারা। এমনকি চাহিদা মিটাতে ভারত থেকে আমদানি হয় টমেটো। অথচ সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে হিমাগার স্থাপন করা গেলে কৃষকের প্রচুর কষ্টে উত্পাদিত টমেটোসহ সবজিগুলো ন্যায্য দাম পেত। আমদানির বদলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হত। টাটকা সবজি খেতে পারতেন ভোক্তারা। কালের কন্ঠ।।