কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
মেরিন হ্যাচারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ঃ বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেছেন, “পর্যটন শহর কক্সবাজারে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে খুব শীঘ্রই এই বিশ্ববিদ্যালযয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।”
গত ১৫ ডিসেম্বর শনিবার চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়য়ের (সিভাসু) কক্সবাজারস্থ কোস্টাল বায়োডাইভার্সিটি, মেরিন ফিশারিজ ও ওয়াইল্ডলাইফ গবেষণা কেন্দ্রের নবনির্মিত গবেষক ডরমিটরি ও এপ্রোচ রোড উদ্বোধন এবং মেরিন হ্যাচারির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন ও কক্সবাজারস্থ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নুরুল আবছার খান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও কক্সবাজার প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু তাহের।
গবেষণার মাধ্যমেই দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে উল্লেখ করে প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে দেশের বিভিন্ন সূচকে ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আরও গবেষণা চালিয়ে যেতে হবে। ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়য়ের উদ্যোগে কক্সবাজারে স্থাপিত গবেষণা কেন্দ্রে সমুদ্র সম্পদ নিয়ে ব্যাপক গবেষণার পথ সুগম হবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেন।
ইউজিসি’র চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিগত দশ বছরে দেশের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক কাজ হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তত্ত্বাবধানে বাস্তবায়িত উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের সাফল্যের হার ৯৯.২ শতাংশ। এই সাফল্য দেখে এডিবি, সুইজারল্যান্ড সরকার, অস্ট্রিয়ার সরকার ও জার্মানীর একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমাদের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে অর্থায়ন করতে আগ্রহ দেখিয়েছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মীর্জা ফারক ইমাম, পরিচালক (বহিরাঙ্গন) প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুদ্দীন, পরিচালক (গবেষণা ও সম্প্রসারণ) প্রফেসর ড. কবিরুল ইসলাম খান, প্রফেসর ড. মো. আলমগীর হোসেন, প্রফেসর ড. মো. রাশেদুল আলম, প্রফেসর ডা. ওমর ফারুক মিয়াজী, প্রধান প্রকৌশলী শাহ্্ মো. জিল্লুর রহমান এবং পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আবুল কালাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সমুদ্রের লোনা পানিতে কোরাল মাছের পোনা উৎপাদনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের কক্সবাজারস্থ গবেষণা কেন্দ্রে মেরিন-হ্যাচারি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। হ্যাচারিতে পোনা উৎপাদন করা গেলে সামুদ্রিক মৎস্য উৎপাদনে বিপ্লব সাধিত হবে।