Site icon

বিএফআরআইয়ে শুরু হয়েছে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০১৭ ও মৎস্য প্রযুক্তি মেলা

 

বাকৃবি প্রতিনিধি

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০১৭

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ -২০১৭ উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস প্রাঙ্গনে ২১ থেকে ২৩ জুলাই ০৩ দিনব্যাপী মৎস্য প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করেছে। শুক্রবার ইনস্টিটিউটের সদর দপ্তরের অডিটরিয়ামে সন্ধ্যা ৬ টায় ওই মৎস্য প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অধ্যাপক ড. মনোরঞ্জন দাস।
বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্ত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটির পরিচালক অধ্যাপক ড. মনোরঞ্জন দাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আলেকুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিএফআরআইয়ের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতর্াা ড. ইনামুল হক।
এসময় বিএফআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহের উপর উপস্থাপনা করেন ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান। বৈশ্বিক, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে মৎস্য উৎপাদনের ধারা এবং উদ্ভ’ত চ্যালেঞ্জসমূহের উপর উপস্থাপনা করেন বাকৃবির অধ্যাপক ড. মো. মাহফুজুল হক।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী গবেষণায় জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এখন অপ্রচলিত মৎস্য সম্পদ যেমন কুচিয়া কাকড়া নিয়ে কাজ করতে হবে। অর্জিত সামুদ্রিক সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। সামুদ্রিক শৈবাল চাষের আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তি ভিািত্তক মাছ চাষ করতে হবে। কারন ধানের জমি ব্যবহার করা যাবে না তাহলে খাদ্য সংকট দেখা দিবে। ফলে অল্প জায়গায় কম সময়ে অধিক মাছ উৎপাদন করতে হবে। মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে গবেষক, শিক্ষক, সম্প্রসারক ও খামারীদের একসাথে কাজ করতে হবে। উৎপাদন বাড়ানোর সাথে সাথে গুণাগুনের দিক নজর দিতে হবে। গুণাগুন ঠিক না থাকায় আমরা মাছ বিদেশে রপ্তানী করতে পারছি না।

 

Exit mobile version