Site icon

বীজ প্রত্যয়ন অফিসার শেখ মো: মুজাহিদ নোমানীর “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৩” অর্জন

 

নিজস্ব সংবাদদাতা:

বাংলাদেশের গণ মানুষের উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান-এর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় “কৃষি উন্নয়নে জনসচেতনতা সৃষ্টি ও উদ্বুদ্ধকরণ প্রকাশনা এবং প্রচারণামূলক” কাজের মাধ্যমে বীজ প্রত্যয়ন সেক্টরে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসারকে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৩” -এ ভূষিত করা হয়। গত ০১মার্চ ২০১৮ খ্রি: তারিখে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত হতে এ পুরস্কার গ্রহণ করেন।

কৃষিবিদ শেখ মো: মুজাহিদ নোমানী সুদীর্ঘ ১৫ বৎসর পর জামালপুর জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে এই সাফল্য বয়ে আনলেন যা জামালপুর বাসীর জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের বিষয়। এজন্য আমরা জামালপুরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণ মাধ্যমের পরিবারের পক্ষ হতে তাকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

 

তিনি বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীতে সুদীর্ঘ ২৮ বৎসর যাবৎ এবং নভেম্বর’২০১৪ খ্রি: মাসে জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিস স্থাপনের শুরু হতে প্রথম জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার হিসেবে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন।তিনি জামালপুর জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসারের দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই অত্যন্ত দক্ষতা,সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাঁর দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যার ফলে জামালপুর জেলায় মানসম্পন্ন ভিত্তি ও প্রত্যায়িত বীজ উৎপাদন,বীজমান নিশ্চিতকরণে এবং বীজ আইন ও বীজ বিধি বাস্তবায়নে বিভিন্ন পরামর্শ,দিকনির্দেশনা ও সহযোগিতা প্রদানে তার নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিক সেবা প্রদানের মাধ্যমে তিনি জামালপুর জেলায় সরকারী-বেসরকারী বীজ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান,বীজ ডিলার ও বীজ চাষীদের নিকট অত্যন্ত সুপরিচিত ও জনপ্রিয় কর্মকর্তা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন।

 

আরও উল্লেখ্য যে, উপ-পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের মধ্যে এবার তিনিই একমাত্র এবং ১৯৭৪ সনে বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সী প্রতিষ্ঠা লাভের পর হতে এই প্রথম বীজ প্রত্যয়ন এজেন্সীর একজন কর্মকর্তা হিসেবে “বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার-১৪২৩” লাভ করলেন। তিনি ১৯৯৬ সন হতেই বিভিন্ন স্থানীয়,জাতীয় দৈনিক,সাপ্তাহিক,পাক্ষিক,মাসিক এবং ত্রৈমাসিক পত্র-পত্রিকায় ও ম্যাগাজিন সমূহে বীজ প্রত্যয়ন,মাননিয়ন্ত্রণ ও বীজ আইন বাস্তবায়নে বিভিন্ন সচিত্র কর্মকান্ড প্রকাশ করে এবং বীজ প্রযুক্তি বিষয়ে বিভিন্ন প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখে বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর বিভিন্ন তথ্যবহুল দিক নির্দেশনামূলক লেখার মাধ্যমে অনেক নতুন নতুন বীজ উৎপাদনকারী প্রত্যয়নকৃত বীজ উৎপাদন ও বাজারজাত করে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছেন। ফলে বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে মানস্পন্ন ভাল বীজ তথা প্রত্যয়নকৃত বীজের প্রতি কৃষকবৃন্দের যথেষ্ট আস্থা ও চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। আরও উল্লেখ্য যে,সাম্পতিককালে “প্রত্যায়িত বীজ চেনার সহজ উপায় ও প্রতারণা হতে রক্ষার সহজ পদ্ধতি” শীর্ষক উদ্ভাবনটি জামালপুর জেলায় অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। এ উদ্ভাবনের মাধ্যমে জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমানে ব্যাক্তি পর্যায়ে অনেক উদ্যোক্তা,চাষীবৃন্দ প্রত্যায়িত বীজ উৎপাদন,বাজারজাতকরণ ও ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।

 

ফলে জামালপুর জেলায় প্রত্যায়িত বীজ উৎপাদন,বীজের পরিমাণ এবং ব্যবহার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে যা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ স্থানীয় জেলা প্রশাসন এবং জামালপুর-৫ সদর আসনের সম্মানিত সাংসদ মহোদয় প্রত্যক্ষ করেছেন। সকলেই তাঁর এই উদ্ভাবনের জন্য প্রশংসা করেছেন এবং জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসার জনাব শেখ মো: মুজাহিদ নোমানীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জনাব মুজাহিদ নোমানী বর্ণিত উদ্ভাবনের মাধ্যমে বীজের মাননিশ্চিতকরণে এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাছাড়া তিনিই প্রথম কর্মকর্তা যিনি জামালপুর জেলা উপজেলার বীজ দোকান সমূহে প্রথম বারের মত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনায় উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এতে জামালপুর জেলায় ভেজাল/নিম্মমানের বীজ বিক্রয় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যার ফলে গত ০২-০৩ বৎসর যাবৎ জেলার কোথাও কোন জায়গা হতে বীজের মান নিয়ে কোন নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হয়নি এবং কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি,যা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে এক বিরাট অবদান রেখে চলেছে। তিনি একজন দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক কর্মশালা ও প্রশিক্ষণে সফল অংশগ্রহণ করেন। তিনি শ্রীলংকায় ০১ মাসের বৈদেশিক প্রশিক্ষণে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন এবং নেদারল্যান্ডস সরকারের ফেলোশীপ পেয়ে নেদারল্যান্ডসে অনুষ্ঠিত আলুর উপর ০১ মাস ব্যাপী আর্ন্তজাতিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। উক্ত প্রশিক্ষণে ২২টি দেশের সাথে একমাত্র বাংলাদেশী হিসেবে উক্ত বৈদেশিক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তিনি বেলজিয়াম,জার্মানী,ফ্রান্স,দুবাই এবং ভারত সফর করেন।

Exit mobile version