টাঙ্গাইলে গ্রিফন শকুন আটক করা হয়। অবশেষে পার্কে স্থানান্তর

টাঙ্গাইলে গ্রিফন শকুন

টাঙ্গাইলে গ্রিফন শকুন
এ কিউ রাসেল, গোপালপুর (টাঙ্গাইল) :

টাঙ্গাইলে  গ্রিফন শকুন আটক করার পর তা গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। শকুনের এ জাতটি বিরল প্রজাতির বলে জানা গেছে। গত ২৩ জানুয়ারি সোমবার বিকালে আটক গ্রিফন জাতের শকুনটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আনা হলে বন বিভাগের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেয়া হয়।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন জানান, টাঙ্গাইল সিটিজেন জার্নালিস্ট গ্রুপ নামক ফেসবুক পেইজে তুষার আওরঙ্গজেব সদর উপজেলার দাইন্যা ইউনিয়নে একটি বিরল প্রজাতির শকুন ধরা পড়ার খবর দিয়ে বন বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পোস্টটি দেখে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানোয়ারুল হক ও বন বিভাগের কর্মী পাঠিয়ে সোমবার বিকালে তাঁর কার্যালয়ে আনেন। এ সময় গত তিন মাস ধরে শকুনটি পালনকারী দাইন্যা ইউনিয়নের চিলাবাড়ী গ্রামের আজগর আলীর স্ত্রী রেনু বেগমকে ৫ হাজার টাকা অনুদান হিসেবে দেন। শকুনটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আনার খবর পেয়ে শ’ শ’ লোক দেখতে ভীড় জমায়।
শকুনটি পালনকারী রেনু বেগম জানান, তিন মাস আগে পাশের নদী থেকে তার ছেলে রাজমিশ্রি সোহেল শকুনটি ধরে বাড়িতে আনে। তার পর থেকে জবাই করা গরু-ছাগলের উচ্ছ্বিষ্ট খাইয়ে লালন পালন করছিলেন। টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন সংরক্ষক মো. মাসুদ রানা জানান, এটি গ্রিফন শকুন। কোন কোন এলাকায় এটিকে বেঙ্গল ভাউচারও (Bangal Vulture) বলা হয়ে থাকে। তিন মাস আগে ধরা পড়লেও এটি এখনও পুরোপুরি সুস্থ। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে এ জাতীয় বেশ কিছু শকুন রয়েছে। এজন্য এ শকুনটিকেও গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে স্থানান্তর করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মো. মাহবুব হোসেন জানান, ফেসবুক পেইজে বিষয়টি দেখে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *