টুঙ্গিপাড়ায় ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে সার-সুপারিশ কার্ড প্রদান

ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্রাম্যমাণ মৃত্তিকা পরীক্ষাগার: গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় কৃষি মন্ত্রণালয়, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার,ফরিদপুরের অধীনে ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (মধুমতি) এর মাধ্যমে মৃত্তিকা নমুনা সংগ্রহ এবং রাসায়নিক বিশ্লেষণ পূর্বক উপজেলা পর্যায়ে সার-সুপারিশ কার্ড বিতরণ করা হয়। ২৮ নভেম্বর মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষি অফিস সম্মেলন কক্ষে চাষীদের মাঝে এ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট, কেন্দ্রিয় গবেষণাগার, ঢাকার ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ,কে এম জগলুল পাশা। তিনি জানান, কৃষকদেরকে মাটি পরীক্ষার ব্যাপারে সচেতন করতে সারা দেশ ব্যাপী রবি ও খরিপ মৌসুমে ১০টি ভ্রাম্যমাণ গবেষণাগারের মাধ্যমে মাত্র ২৫ টাকার বিনিময়ে মাটি পরীক্ষা করে সার সুপারিশ কার্ড দেওয়া হয়। তিনি মাটি পরীক্ষার গুরুত্ব সম্পর্কে কৃষকদের পরামর্শ দেন। এ সময়ে বক্তব্য প্রদান করেন আঞ্চলিক গবেষণাগার,ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোঃ নূরুল হুদা আল মামুন। তিনি বলেন, আমাদের মৃত্তিকা সম্পদ সীমিত,জনসংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বাড়তি জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা মেটাতে আমরা যেন মাটির উপর অত্যাচার না করি। তিনি আরো বলেন, নিয়মিত মাটি পরীক্ষা করে ফসলের চাহিদা মোতাবেক জৈব ও রাসয়নিক সার দিলে মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকে, ফলনও বেশি পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (মধুমতি) এর টিম লিডার ও ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো. কিবরিয়া বলেন, মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে কৃষকরা তাদের চাষাবাদের জমিতে সঠিক মাত্রায় সার প্রয়োগ করে সুফল পাবেন। এতে অনুমান নির্ভর সার প্রয়োগ যেমন কমবে, তেমনি কমে আসবে কৃষকদের সার প্রয়োগের খরচও বলে জানান তিনি।

এ সময়ে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ রকিবুল ইসলাম,ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ জুনেদ মিয়া, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.মামুন হাওলাদার, কল্পনা বেগম, আলীম আল রাজির, মোঃ শাহীন মিয়া প্রমুখ। এ সময় রবি মৌসুমে টুঙ্গিপাড়া্র ৫০জন কৃষাণ-কৃষাণীদের মাঝে মৃত্তিকা পরীক্ষার ভিত্তিতে সার-সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয়।

জানা যায়, ভ্রাম্যামাণ মৃত্তিকা পরীক্ষা গবেষণাগার (মধুমতি) এর মাধ্যমে রবি ও খরিপ মৌসুমে কৃষকদের কোন মাটিতে কি কি সার কতটুকু সার প্রয়োজন তা নির্ণয় করে,সার-সুপারিশ কার্ড প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য,৫০ টাকার বিনিময়ে বছরের যে কোন সময়ে মাটি পরীক্ষা করা যায়। আঞ্চলিক গবেষণাগার,গোপালগঞ্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি বলেন, কোন কৃষক তাদের চাষাবাদের জমির মাটি পরীক্ষার জন্য গোপালগঞ্জ অফিসে গিয়েও পরীক্ষা করিয়ে আনতে পারেন।

Advisory Editor

Advisory Editor of http://www.krishisongbad.com/

Learn More →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *