Site icon

তিস্তার চরে বাদাম চাষ, কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে রাশি রাশি

বাদাম চাষ

কৃষি সংবাদ ডেস্ক: ভারতের অব্যাহত পানি দস্যুতার ফলে প্রমত্তা তিস্তা নদী শুকিয়ে আজ মৃত প্রায়। ফলে এ নদী পাড়ের অধিবাসীদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ে। জেলে ও চাষীদের জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। তবে, থেকে থাকেননি এ অঞ্চলের মানুষ। নদীর পানিহীনতায় জেগে উঠা চরে করছেন বাদাম চাষ।নদীর বালুতে ব্যাপকভাবে আগাম জাতের বাদামের চাষে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন তারা। কৃষকরা আশা করছে বাদামের ফলন ভাল হবে। বাজারে দাম ভাল থাকায় ব্যাপক লাভ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিস্তার বালুচরে প্রতি একর জমিতে ৩০ থেকে ৩২ মণ ধান হলেও বাদাম হচ্ছে ১৮ থেকে ২০ মণ। প্রতি মণ বাদামের দাম দুই হাজার ৫শ টাকা। বাদাম পরিচর্যায় খরচ ও সময় কম লাগে।

তিস্তার ঝাড়শিঙ্গেরশ্বর চর, চরখড়িবাড়ি, কিসামত ছাতনাই চর, পূর্ব বাইশপুকুর, দক্ষিণ বাইশপুকুর চর, ছাতুনামা চর, উত্তর খড়িবাড়ির চর, ভেন্ডাবাড়ির চরের জমিতে এবার ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ করা হয়েছে। দক্ষিণ বাইশপুকুর চরের বাদাম চাষী এরশাদ হোসেন (৩২) জানান, চলতি মৌসুমে তিন একর জমিতে বাদামের চাষ করেছে। এক একর জমিতে ২২মণ বাদাম ঘরে তুলতে পেরেছেন। তিনি বলেন প্রতি একর জমিতে বাদাম চাষে খরচ হয় ১০ হাজার টাকা।

একই গ্রামের সামচুল ইসলাম (৩৫) জানান, তিস্তার পলিতে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার বাদামের দ্বিগুণ ফলন তুলতে পারছেন তারা। এবার বন্যা না হওয়ায় বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে বলে জানান বাদাম চাষী জহুরুল ইসলাম।

চাষী হাসানুর ইসলাম বলেন, তিস্তার পলিতে অন্যান্য ফসলের চেয়ে বাদামের খরচ কম। আর বাজারে দাম ভালো থাকায় ব্যাপক লাভবান হয়েছেন তিনিসহ এলাকার বাদাম চাষীরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানায়, উপজেলার চলতি বছর ১৫০ হেক্টর জমিতে বাদামের চাষ করা হয়েছে। আগাম জাতের বাদাম কৃষকদের ব্যাপকভাবে সাবলম্বী করে তুলবে।

নীলফামারী কৃষি অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আফতাব হোসেন জানান, তিস্তার চরে আগাম জাতের বাদাম এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাদাম ক্ষেতে পোকার আক্রমণ কম হয়েছে।তিস্তার পাড়ের বাদামের দানা পরিপূর্ণ হওয়ায় অন্যান্য এলাকার চেয়ে বাজারে চাহিদা বেশি থাকে। ভোরের কাগজ।।

 কৃষির আরো খবরাখবর জানতে আমাদের পেইজে লাইকদিনঃ facebook.com/krishisongbad.com
 
Exit mobile version