এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট:
আখের বাম্পার ফলনে ঃদক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বাগেরহাট সহ ১০ জেলার আখের বাম্পার ফলন খরচ কম ও অল্প পরিশ্রমে অধিক ফলন ফলে চাষির মুখে হাসি। বাগেরহাট জেলায় আখ চাষ করে চাষীরা ব্যাপক ফলন পাওয়ায় তাদের মাঝে আখ চাষের আবাদ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নতুন চাষীরাও আগ্রহী হয়ে উঠছে। জেলার মাটি এটেল দোঁআশ হওয়ায় এ মাটিতে আখ চাষে গত কয়েক বছরের মত এবারো সফলতা আশা করছেন চাষীরা। তবে ধান, পাট ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ার আখ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।
বাগেরহাট কৃষি অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৯টি উপজেলার ৭ শত ৬০ হেক্টর জমিতে আখের আবাদ হয়েছে। উপজেলাসহ বিভিন্ন গ্রামের নিজ জমিতে আখ চাষ করে চাষীরা আশানুরুপ ফলন পেয়েছে। এতে অনেকেই আধুনিক পদ্ধতিতে ভাল জাতের আখ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন।
সরেজমিনে বাগেরহাটের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, আখ চাষে সার ও কীটনাশক তেমন ব্যবহার করতে হয় না। তবে তিনবার সেচের প্রয়োজন পরে। কম পরিশ্রমে অল্প ব্যয়ে ব্যাপক সফলতা পাওয়ায় জেলায় কৃষকরা আখ চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। ধান ও অন্যান্য ফসলের আবাদে খরচ বেশি হওয়ার কারণে আখ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। বাংলা মাসের আশ্বিন মাসেই নতুন করে আখচাষ করা হয়। প্রথমে জমির মাটি ১ফুট গর্ত করে পাশে তিনফুট পাশে রেখে মাটির সাথে বিভিন্ন সার মিশিয়ে ভালোমত চেলে আখের চারা রোপন করা হয়। প্রায় ১বছর মাঝামাঝি আখ বিক্রির উপযুক্ত হয়।
বাগেরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আফতাব উদ্দিন জানান, বাগেরহাটে মাটির গুনগত মান খুবই ভাল। আর সময়মত আখের চারা রোপন করতে পারলে ফলন অবশ্যই ভাল হয়। বর্তমানে ধান ও পাটের খরচের তুলনায় দাম কম থাকায়, কৃষকেরা আখ চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছে। এই জেলায় এ বিষয়ে কোন প্রকল্প। তাই প্রকল্প অনুসারে কৃষকদের আখ চাষে উৎস দিতে পারলে ফলন ও চাষাবাদ আরও ভালো হতো।