বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছেলেদের আবাসিক দুটি হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার দুপুর ২টার দিকে ওই মারামারির ঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামছুল হক হল ও আশরাফুল হক হলের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের কথাকাটাকাটির জের ধরে মারামারির ঘটনাটি ঘটে। প্রথমে গত মঙ্গলবার শহীদ শামসুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী সাকিব ফেরদৌস রাতুল তার জুনিয়র আশরাফুল হক হলের আবাসিক নুরে আলম অনিকের সাথে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারধর করে। পরে মঙ্গলবার রাতে রাতুল শেষ মোড় এলাকায় খেতে গেলে অনিক ও তার বন্ধুরা মিলে রাতুলকে মারধর করে। একই ঘটনায় বুধবার দুপুর ২টার দিকে ফের দুই হল রামদা, লাঠিসোঠা নিয়ে মারামারি করে। এসময় আশরাফুল হক হলের দারোয়ানকে গলা টিপে ধরার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজী তাৎক্ষণিক উপস্থিত হলে আশরাফুল হক হলে ঢুকতে বাধা দেয় দারোয়ানরা। তারা জানান, আশরাফুল হক হলের শিক্ষার্থীরা তাকে হলের দরজা খুলতে নিষেধ করেছিলেন তাই সভাপতিকে চিনতে না পেরে হলে ঢুকতে বাধা দেন। এক পর্যায়ে সবুজ কাজী আশরাফুল হক হলে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করলে তারা শান্ত হয়।
রাতুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদে দ্বিতীয় বর্ষে এবং অনিক কৃষি অনুষদে প্রথম বর্ষে অধ্যায়ন করছে। মুঠোফোনে রাতুল ও অনিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান। মারামারির ঘটনাটি অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সবুজ কাজী বলেন, ব্যক্তিগত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি ঘটনাটি ঘটেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, বিশৃঙ্খলাকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে জড়িতদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওয়তায় আনা হবে। তাদেরকে শোকজ করা হবে।