বাংলাদেশে কৃষির উন্নতির প্রেক্ষাপটে ঘটছে কৃষিশিক্ষার অবনতি

কৃষিশিক্ষার অবনতি

কৃষির উন্নতি

কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ

কৃষিই কৃষ্টি। কৃষিই আমাদের প্রাণ। কৃষিকে ঘিরেই বাঙালি সভ্যতার জাগরণ শুরু। ‘কৃষি’ পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত কৃষির বিকল্প নেই। কৃষি পৃথিবীর মূল চালিকা শক্তি। খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা ও বিনোদনের অধিকাংশ উপাদান আসে কৃষি থেকে। বিশেষ করে খাদ্য ছাড়া জীবন বাঁচানো যায় না। খাদ্যের একমাত্র উৎস কৃষি। কৃষিকে বাঁচিয়ে রেখেছে কৃষক ও কৃষিবিদরা।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশে সফলতা অর্জন হয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জন হয়েছে কৃষি ক্ষেত্রে। কারণ ৪৪ বছরে দেশের জনসংখ্যা দ্বিগুণের বেশি হয়েছে। জমি কমেছে অথচ খাদ্যশস্যের উৎপাদন বেড়েছে তিনগুণ। প্রতি এক শতাংশ হারে বছরে ৫০ হাজার হেক্টর আবাদি জমি কমে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বাড়ছে ১.৪৭ শতাংশ হারে। ক্রমহ্রাসমান জমি থেকে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা পূরণের জন্য কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন। রোদ, বৃষ্টি, শীত, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অভাব অনটন, ক্ষুধাসহ হাজারো সমস্যা উপেক্ষা করে খাদ্য উৎপাদন করছেন দেশের প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের জন্য। অথচ কৃষক অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত। ৪৪ বছরে কৃষিতে অনেক উন্নতি হলেও উন্নতি হয়নি কৃষকের। খাদ্য উৎপাদনে সহায়তা করছেন, কৃষক কৃষি বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণ বিভাগ, কৃষিবিদ, এনজিও, মিডিয়াসহ অনেকেই।
১৯৭১ সালে দেশে চালের উৎপাদন ছিল এক কোটি দুই লাখ মেট্রিক টন। তখন খাদ্য সংকট ছিল চরমে। বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। উৎপাদন তিন কোটি ৩৯ লাখ মেট্রিক টন। ১৯৭১ সালে হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছিল ১.০৫ টন। এখন সাড়ে তিন টন। বর্তমানে দেশে শস্য নিবিড়তা ১৯০ শতাংশ, কৃষি ক্ষেত্রে জিডিপির অবদান ১৮.৭০ শতাংশ, কৃষিতে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২.১৭ শতাংশ, পশুসম্পদের অবদান ২.৫১ শতাংশ ও মৎস্য সম্পদের অবদান ৪.৩৯ শতাংশ।
দেশে এখন কৃষিতে কৃত্রিম উপগ্রহ, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, ওয়েবসাইট, তথ্য প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। দেশের ১৩টি জাতীয় কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠান অসংখ্য লাগসই প্রযুক্তিসহ প্রায় ৬০০টি ফসলের জাত উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট- ৪১৭ টি ফসলের উন্নতজাতসহ ৬৪৫টি প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট ধানের চারটি হাইব্রিডসহ- ৮১টি, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট- ৪৫টি ফসল, বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইন্সটিটিউট ইক্ষুর ৪৪টি, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইন্সটিটিউট পাটের ৪৩টি জাত উদ্ভাবন করেছে। এছাড়াও বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউট মাছের, বাংলাদেশ প্রাণি সম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউট গবাদি পশু ও হাঁসমুরগি, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট চা-এর জাত ও উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। মৃত্তিকা সম্পাদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট মাটি পরীক্ষার জন্য ১৮১০টি মিনিল্যাব স্থাপন করে ৯০ হাজার মাটির নমুনা পরীক্ষা করছে। ২৩০টি উপজেলার কৃষক ওয়েবসাইট থেকে সারের মাত্রা জানতে পারছেন। পাটের জেনোম সিকোয়েন্স আবিস্কার হয়েছে। ফলে পাটের বহুমুখী ব্যবহার সম্ভব হবে। ইক্ষু উৎপাদন ও বিপণনে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। প্রাণি বিজ্ঞানীরা শুভ্রা নামে ডিম পাড়া মুরগির জাত উদ্ভাবন করেছে। এ জাতের মুরগিবছরে ২৮০ থেকে ২৯৫টি ডিম দেয়। দেশের মৎস্য বিজ্ঞানীরা জেনেটিক গবেষনায় দেশীয় রুই ও কৈ-মাছের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে যা শতকরা ১৫ ও ৪৫ ভাগ বেশি উৎপাদনশীল। বাংলাদেশের পুকুরে মুক্তা চাষ সফল হয়েছে। গ্রিণ হাউস পদ্ধতি ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা গলদা চিংড়ির আগাম ব্র“ড উৎপাদনের কৌশল উদ্ভাবন করেছে। মটি ও জনবায়ুর উপর ভিত্তি করে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৭টি ক্রপ জোনিং ম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে। ইউনিয়ন ও ব্লক পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র চালু হয়েছে। যেখান থেকে কৃষকরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক তথ্য পাচ্ছেন। বাড়িতে কৃষির তথ্য ও সমস্যার সমাধান জানতে পারেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও কৃষির সমস্যার সমাধান ও তথ্য জানতে পারেন। ব্রি জিংক সমৃদ্ধ ধানের জাত বিআর ৬২ উদ্ভাবন করেছে। এই চালের ভাত খেলে দেহে জিংকের অভাব পূরণ হবে। মঙ্গা এলাকার জন্য ধানের ৪টি জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।
১৯৭১ সনে আবাদি জমির ১৫ শতাংশ সেচের আওতায় ছিল, এখন তা বেড়ে ৫৮ শতাংশ উন্নীত হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আইপিএম ও আইসএম কার্যক্রমের আওতায় মোট ২২ হাজার ৯৬২টি কৃষক মাঠ স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৭৪ হাজার ৫০ জন কৃষককে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়েছে।
সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, আলু উৎপাদনে অষ্টম, আম উৎপাদনে নবম আর মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে। এছাড়া মাংস ডিম দুধ উৎপাদনেও আগের তুলনায় অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। তাছাড়া ৮৫-৯০ লাখ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায়। সাড়ে ১০ লাখ টন আম উৎপাদনের মাধ্যমে বিশ্বে ৯ম স্থান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর ১১৫টি হাইব্রিড ধানের জাত উদ্ভাবন করেছে বেসরকারি বীজ কোম্পানীগুলো। এ পর্যন্ত ব্রি ও বিনার বিজ্ঞানীরা মোট ১৫টি প্রতিকূল পরিবেশ সহিষ্ণু ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন। এর মধ্যে লবণসহিষ্ণু ৯টি, খরাসহিষ্ণু ২টি ও বন্যা সহিষ্ণু ৪টি ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন তারা। মাথাপিছু সবজির ভোগ বেড়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ। পাশাপাশি সবজি রফতানি করেও মিলছে বৈদেশিক মুদ্রা। গত এক বছরে শুধু সবজি রফতানি আয়ই বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। বাংলাদেশে মোট রফতানি বেড়েছে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ, আর কৃষিজাত পণ্যের রফতানি বেড়েছে প্রায় ১৫ শতাংশ। এর মধ্যে সবজির রফতানি বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্যের রফতানি বেড়েছে ৬০ শতাংশ। আধুনিক উন্নত নতুন জাত, আবাদ প্রযুক্তি, বিভিন্ন ধরনের জৈবসার, গুটি ইউরিয়া, গুটি ইউরিয়া এপ্লিকেটর, মিশ্রসার, রাইস ট্রান্সপ্লান্টার, কম্বাইন্ড হারভেস্টর, চপার, ফেরোমন ফাঁদ, এডাব্লিউডি, এলসিসি, মিশ্রফল বাগান, বহুস্তরি ফল বাগান, হাত পরাগায়ন, চরাঞ্চলের কৃষি, বন্যা খরা সহনশীল কৃষি, আবহাওয়া জলবায়ুর পরিবর্তনে অভিযোজিত কৃষি, পারিবারিক সবজি বাগান মডেল প্রভৃতি উদ্ভাবন করেছে। ২০০৪ থেকে ২০১৪ সনের মধ্যে বাংলাদেশের মাছের উৎপাদন ৫৩ শতাংশ বেড়েছে।
কৃষিতে বহুমুখী প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগের জন্যই আজ প্রচুর খাদ্য পাওয়া যায়। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও জমি হ্রাস সত্ত্বেও খাদ্য সংকট নেই। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তা এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য পরিবর্তিত জলবায়ুতে চাষাবাদ উপযোগী জাত উদ্ভাবন, কৃষিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া, জ্বালানি সংকট নিরসন, মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি, প্রতি ইঞ্চি জমি উৎপাদনমুখী করা, কৃষি জমি রক্ষা, ভর্তুকি বৃদ্ধি, কৃষকের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, কৃষি পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা, উৎপাদন খরচ কমানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হবে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্র“য়ারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে কৃষি গ্রাজুয়েটদের সরকারি চাকুরিতে প্রথম শ্রেণির পদ মর্যাদা প্রদান করেন। এই দিন জাতীয় কৃষিবিদ দিবস পালন করা হয়।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষি মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে শিক্ষিত বেকারদের কৃষিপণ্যের উৎপাদনমুখী করার নির্দেশ দেন এবং কৃষিশিক্ষার গুরুত্ব দেন। একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির কৃষিশক্ষা বিষয়ের কারিকুলামে কৃষি উৎপাদনের মাধ্যমে আয় উপার্জনের উপর শিক্ষা গ্রহণের অনেক সুযোগ রয়েছে। অথচ ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা চতুর্থ বিষয়ের (ঐচ্ছিক) কাঠামোতে দেয়া হয়েছে। আবার ব্যবহারিক নম্বর ৪০ থেকে কমিয়ে ২৫ করা হয়েছে। এতে ছাত্রছাত্রীরা কৃষিশিক্ষা বিষয়ে পড়তে আগ্রহী হচ্ছে না।
দেশে প্রতিবছর প্রায় নয় লাখ ছাত্রছাত্রী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। এদের মধ্য থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত শতকরা ২৫-৩০ ভাগ ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া বাদ দিয়ে বেকার হয়। অনেকে স্নাতক অথবা মাস্টার্স পাস করেও বেকার হয়। প্রতিবছর নয় লাখ ছাত্রছাত্রী একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা পড়ার সুযোগ পেলে অনেকে বিভিন্ন কৃষি খামার বা কৃষিপণ্য উৎপাদনে আগ্রহী হবে। বর্তমানে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা পড়লে যেগুলো শিখতে পারবে ও আগ্রহী হবে সেগুলো হলো: ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির খামার করা, ডেইরী ফার্ম করা, গরু মোটাতাজাকরণ, মাশরুম চাষ, মৌচাষ, জৈবসার উৎপাদন, জীবাণুসার উৎপাদন, বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ, ফুল-ফল-মসলা ফসল উৎপাদন, নার্সারী করা, রেশম চাষ, বীজ উৎপাদন, ফল সবজি দিয়ে সংরক্ষিত খাদ্য তৈরি, মাছ চাষ, চিংড়ি চাষ, ইনকিউবেটরে মুরগির বাচ্চা উৎপাদন, কোয়েল পালন, হাঁস পালন, কবুতর পালন, গরু-মহিষ-ছাগল পালন ইত্যাদি। বেকার যুবক-যুবতীরা ঋণ গ্রহণ করে এসব কৃষিপণ্য সহজেই উৎপাদন করে বেকারত্ব ও দরিদ্রতা দূর করতে পারে। এতে বাজারে কৃষি পণ্যের সরবরাহ বাড়বে ও খাদ্যদ্রব্যের দাম কমবে। দেশের অর্থনীতির ভিত্তি হলো কৃষি। কৃষিপণ্যের উৎপাদন বাড়লে জাতীয় আয় বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
২০১৩ থেকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকবোর্ড (এনসিটিবি) কৃষিশিক্ষা চতুর্থ বিষয় করে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের কৃষিশিক্ষা পড়ার সুযোগ কমিয়ে দিয়েছে। কেউ কেউ মনে করছে এটা বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার সূক্ষ্ম ষড়যন্ত্র। কৃষিশিক্ষাকে চতুর্থ বিষয় করার খবর পেয়েই কৃষিশিক্ষা বিষয়ের কলেজের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ এনসিটিবির চেয়ারম্যান ও শিক্ষাসচিবের সাথে দেখা করে কৃষিশিক্ষা আবশ্যিক/নৈর্বাচনিক রাখার দাবি জানান। তারা এ ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও তা কার্যকরী করেনি। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সারা দেশের কলেজের কৃষিশিক্ষকরা সংগঠিত হচ্ছে।
কৃষিশিক্ষা প্রায়োগিক ও কারিগরি হওয়ায় কৃষিপ্রধান বাংলাদেশে কৃষির মাধ্যমে বেকারত্ব দূর ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এজন্য কৃষির প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির জন্য ৫ম শ্রেণি থেকে স্নাতক শ্রেণি পর্যন্ত কৃষিশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত ও বাধ্যতামূলক করা প্রয়োজন। কৃষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষিকে বাঁচাতে হলে কৃষিশিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ইতিপূর্বে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে কৃষিশিক্ষা বিভাগ ছিল। এরপর বিভাগ বাদ দিয়ে শিক্ষাক্রমে নৈর্বাচনিক বিষয় হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হলো। এখন চতুর্থ বিষয় (ঐচ্ছিক) হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে শিক্ষামন্ত্রণালয় কৃষিশিক্ষাকে অবহেলিত করেছে। ফলে কৃষিপণ্য উৎপাদন ব্যাহত হবে। উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হবে।

লেখক ঃ কৃষি সাংবাদিক ও সহকারী অধ্যাপক শহীদ জিয়া মহিলা কলেজ, ভূয়াপুর, টাঙ্গাইল। মোবাইল : ০১৭১১-৯৫৪১৪৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *