মো. মোশারফ হোসেন, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি:
নকলায় বৃক্ষ মেলার : শেরপুরের নকলা রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩ দিন ব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলার নার্সারী স্টল
গুলোতে শেষ দিনেও উপচে পড়া ভিড় ছিল। মেলা উদ্বোধনের পরেই ক্রেতা সাধারনদের ভিড় জমে যায়। এর
ধারাবাহিকতায় তিনদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় লেগেই ছিল। তবে বিভিন্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদর উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। যা সবার নজর কেড়েছে। তিনদিন
ব্যাপী এ মেলায় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, কাঠ ও ঔষধী বৃক্ষের ১১টি স্টল স্থাপন করা
হয়েছিল।
গাছর চারা ক্রেতা বানেশ্বরদী ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার সহকারী সুপার মাওলানা মো.
আখতারুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক মো. মোশারফ হোসাইন, মোসাম্মৎ রোকেয়া আক্তার, নুসরাত
জাহান নীপা, মাহবুব হোসাইন রুপম, শওকত আলী, সহকারী মৌলভী রেজাউল করিম, ফজলুল করিম,
জামাল উদ্দিনসহ অনেকে জানান, মেলাতে সাধারনত গাছের চারার দাম কম থাকে, তাই তারা
প্রতিবছর বৃক্ষ মেলা থেকে চারা কিনে বাড়ীর এবং নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে
লাগান।
শিক্ষার্থী মারজিয়া, সোনিয়া, তুলি, শান্ত, বিপ্লব, তারেক, মরিয়ম, মলি, জাকিয়া,
সুচনা, হাপী, নাছিমা, রুপালী, শিক্ষার্থী ও সুইটিসহ অনেকে জানায়, তারা সারা বছর
টিফিনের টাকা থেকে কিছু কিছু টাকা বাচিয়ে রেখে, বছর শেষে ওই জমানো টাকা দিয়ে
প্রতি বছর উপজেলা বৃক্ষ মেলা থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, ফল, কাঠ ও ঔষুধী গাছের চারা কিনে
নিয়ে বাড়ীর আশেপাশে সুবিধা জনক স্থানে লাগায়। এতে তাদের অভিভাবকরা বেশ খুশি হন বলে
তারা জানায়।
ধুকুড়িয়া গ্রামের রিয়া নার্সারী মালিক মুক্তারসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত
অনেক নর্সারী মলিকরা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরের মেলাতে তাদের বেচা বিক্রি ভলো
হয়েছে। চারা বেশি বিক্রি হওয়ায় একটু কম দামে বিক্রি করলেও, দিন শেষে তাদের বেশ লাভ হয়েছে
বলে তারা জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, দিন দিন নকলায় বৃক্ষ মেলার কদর ও
ক্রেতাদের উপস্থিতি বাড়ছে। ৩ দিন ব্যাপী এ ফলদ বৃক্ষ মেলার সাফল্য মন্ডিত করতে কৃষি অফিস
থেকে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল বলেই অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর বেচা-কেনা বেশি
হয়েছে। তিনি জানান, মেলা শেষে মূল্যায়ন উপকমিটি সুপারিশক্রমে মঙ্গলবার সেরা নার্সারী স্টল
মালিকদের পুরষ্কৃত করা হবে। সেরা স্টল নির্বাচেনর জন্য এরি মধ্যে মূল্যায়ন উপকমিটি দফায়
দফায় গোপনে ও সরাসরি স্টল গুলো পরিদর্শন করছেন।