Site icon

নকলায় সুতিখালী নদীতে অবৈধ দখল মুক্ত করতে অভিযান শুরু হয়েছে

অবৈধ দখল মুক্ত

অবৈধ দখল মুক্ত

মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:

অবৈধ দখল মুক্ত ঃ শেরপুরের নকলা উপজেলার মধ্যদিয়ে প্রবাহমান ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা সুতিখালী নদীতে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে মাছের প্রকল্প, গাছের বাগান, পুকুর খনন ও স্থাপনা দখল মুক্ত করতে যৌথভাবে অভিযান শুরু করেছেন জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) শেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও বিপুল সংখ্যক পুলিশের উপস্থিতিতে উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি, পাঁচকাহুনিয়া ও পাঠাকাটা এলাকায় সুতিখালী নদীর পাড়ের সকল অবৈধ গাছের বাগান, স্থাপনা, নদীতে গড়ে ওঠা অবৈধ মাছের প্রকল্প ও পুকুর খনন দখল মুক্ত করতে এসব ভেঙে দেওয়া হচ্ছে।

অভিযানের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তোফায়েল আহমেদ, নকলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুর রহমান, শেরপুরের সহকারী কমিশনার আশরাফুল ইসলাম রাসেল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম, পাঠাকাটা ইউপি’র চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফয়েজ মিল্লাতসহ জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক এবং নদীর তীরে অগণিত উৎসুক স্থানীয় জনগন উপস্থিত ছিলেন।

দীর্ঘদিন পরে হলেও ঐতিহ্যবাহী সুতিখালী নদীটি অবৈধ দখলমুক্ত করার কাজ শুরু হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সকল স্তরের জনগন। আগামী ৩ দিনে এই নদীর দখল হওয়া অন্তত ৩ কিলোমিটার পরিমাণ অংশ উদ্ধার করা হবে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন জানিয়েছেন। ঐতিহ্যবাহী সুতিখালী নদীর ইতিহাস ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে অবৈধ দখল মুক্ত হওয়ার পরে, নদীটি পুণ:খননের কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাজহারুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে অবৈধভাবে দখল করা স্থানের পুকুরের মাছ ধরা ও গাছ কাটার হিড়িক পড়েগেছে। আকাল দেখা দিয়েছে মাছ ধরা ও গাছ কাটা শ্রমিকের। এই সুযোগে মাছ ধরার ও গাছ কাটার জন্য প্রতিজন শ্রমিকের দৈনিক মজুরি এক হাজার টাকা করে হাকানো হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে কেউ কেউ চড়াদামে শ্রমিক নিয়ে আপাতত পুকুরের বড় বড় মাছ ধরছেন ও দামি গাছ গুলো কাটছেন। সরজমিনে স্থানীয় বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মাছের দামে ব্যাপক দর পতন ঘটেছে। নামমাত্র দামে মাছ ও গাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন মালিকরা।

Exit mobile version