মোঃ মোশারফ হোসেন, নকলা (শেরপুর) :
শেরপুর জেলার সবকয়টি উপজেলায় গো-খাদ্যের আকাল দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে নকলা ও নালিতাবাড়িতে এ আকাল চরম আকার ধারন করেছে। প্রয়োজনের তুলনায় খড় (খের) না পাওয়ায় এটা যেন অমূল্য সম্পদে পরিণত হয়েছে। দুষ্প্রাপ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ চড়া দামে কিছু খড় বিক্রি করছেন। যে কৃষকের বাড়িতে খড়ের গাদা (পাল্লা) আছে সেখানেই গরুর মালিকরা কিনতে ভিড় করছেন। অনেক কৃষক গরু বিক্রি করে দিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কিন্তু খড়ের আকাল থাকায় বাজারে গরুর দামটাও অনেক কমে গেছে বলে জানালেন বেশ কিছু গরুর মালিক।
জানা গেছে, সাম্প্রতিক শেরপুরের চারটি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হওয়ায় গো-খাদ্য (খড়)’র আকাল দেখা দেয়। খড়তো নয় যেন, এটি জেলায় সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদে পরিণত হয়েছে। অনেকেই নিজের গরুর প্রয়োজনীয় খর রেখে বাকী খড় চড়াদামে বিক্রি করে দিচ্ছেন। প্রতি ট্রলি খর ৪ হাজার ৫০০টাকা থেকে ৫ হাজার ৫০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে বলে জানালেন অনেক কৃষক। অথচ গত বছর ওই একট্রলি খড়ের দাম ছিলো মাত্র একহাজার ৫০০ টাকা থেকে ২হাজার ৫০০ টাকা মাত্র।
নকলার বানেশ্বরদী গ্রামের আবুল হোসেন, আমীন মিয়া, মোস্তাফিজুর রহমান, আব্দুছ ছাত্তার; উরফা এলাকার সরফরাজ ও ইয়াকুব আলী; জালালপুরের কামাল ও ফিরোজ; ডাকাতিয়া কান্দার মোশারফ ও আলমগীর; বারইকান্দির লিটন, ভুরদী কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যান সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হেলাল, সদস্য জব্দুল ও ছাইয়েদুল হক; নালিতাবাড়ির বাঘবেড় এলাকার মোজাম্মেল, আন্ধারুপাড়া এলাকার আবদুছ সবুরসহ অনেকেই জানান, গো-খাদ্যের (খড়)’র অভাবে গরুর স্বাস্থ্য ক্রমেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। দিন দিন গরুর বাজার মূল্যও কমছে। একদিকে খাদ্যের অভাব, অন্যদিকে বিক্রি দাম কম থাকায় কৃষকরা পড়েছেন মহা সঙ্কটে।
এবিষয়ে নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ূন কবীর ও নালিতাবাড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরীফ ইকবাল জানান, নকলা ও নালিতাবাড়িতে খড়ের কোন প্রকার অভাব নইে, বরং এখানকার অনেক কৃষক রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় খড় বিক্রি করছেন।