বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস
কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির উদ্যোগে ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস ২০২০ ভিডিও protection for improving animal and human health (প্রাণি ও মানব স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ)।”
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিশ্ব আজ চরম বিপর্যয়ে নিমজ্জিত এমনি পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায়কল্পে সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে লাইভ এই অনুষ্ঠানে শের-এ বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও পাবলিক হেল্থ বিভাগের চেয়ারম্যান-স্বনামধন্য বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. কে বি এম সাইফুল ইসলাম, চট্রগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. বিবেক চন্দ্র সূত্রধর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর ড. মো: মুকতার হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের, বাংলাদেশ এর পরিচালক প্রশাসন ডা: শেখ আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ লাভস্টক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ড. মো: হেমায়েতুল ইসলাম এবং বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। আলোচকবৃন্দ মতামত প্রদান করেন যে, বিশ্বের এ ক্রান্তিলগ্নে দিবসের প্রতিপাদ্যকে মূল্যায়ন করে এর অন্তর্নিহিত উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত জরুরী।
বিশেষজ্ঞগণ বলেন যে, প্রাণিকে যদি নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য প্রদান করা হয় তবেই তারা মানব জাতির জন্য নিরাপদ ও সকল পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবারের যোগান দিতে সক্ষম হবে। তাই প্রারম্ভিক পরিকল্পনাই হওয়া উচিত প্রাণির জন্য নিরাপদ ও পর্যাপ্ত খাদ্যের নিশ্চয়তা কেন্দ্রিক। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রাণিজ প্রোটিন সরবরাহকারী দ্রব্য তথা দুধ, ডিম ও মাংস উৎপাদনে যারা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখে চলেছে তাদের সমস্যা সমুহ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে তার যৌক্তিক সমাধানে সরকারি ও বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠানকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে তাদেরকে টিকিয়ে রাখার জন্য একদিকে যেমন প্রনোদোনা প্রদান করা উচিত অপরপক্ষে তাদের উৎপাদিত পন্যের ন্যয়সংগত মূল্য, নিরবিচ্ছিন ও স্বাচ্ছন্দে বাজারজাত করণ নিশ্চিত করাও আবশ্যক। এমতাবস্থায় আলোচকবৃন্দ ত্রাণের সাথে দুধ ডিম ও মাংস যুক্ত করার পাশাপাশি প্রাণিজ আমিষের ভান্ডার এ সকল পন্যের প্রতি ভোক্তাদের আকৃষ্ট করতে তথ্যসমৃদ্ধ সচেনতানতামূলক ব্যপক প্রচারের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন। তাঁরা বলেন এতে একদিকে যেমন পর্যাপ্ত নিরাপদ আমিষ গ্রহণ করে সুস্থ, সবল ও অধিক রোগ প্রতিরোধক্ষম মানব দেহের আধিক্য বৃদ্ধি পাবে অপরপক্ষে এ সকল পন্য যোগানের মূল ত্রাতা তথা খামারিগণ পাবে তাদের সঠিক প্রতিদান।