কৃষি সংবা
তিনি উল্লেখ করেন যে, ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সকল ট্যানারি শিল্প-কারখানা হাজারীবাগ হতে সাভা্রের চামড়া শিল্পনগরীতে স্থানান্তরের কাজ শেষ করে অবশ্যই প্রোডাকশনে যেতে হবে। যারা এখনও সাভার চামড়া শিল্পনগরীতে তাদের শিল্প-কারখানা নির্মাণ শুরু করেনি তাদের জন্য বরাদ্দকৃত প্লট বাতিল করা হবে বলে তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি চামড়া শিল্প দেখতে গেলে বিসিক চেয়ারম্যান মোশতাক হাসান মুহম্মদ ইফতিখার, চামড়া শিল্পনগরীর প্রকল্প পরিচালক, মো. আবদুল কাউয়ুম, চামড়া শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, স্থানীয় গণ্যমান্য নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শিলপ মন্ত্রি বলেন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য দেশের প্রধান রপ্তানি খাতের একটি। চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে কমপক্ষে ১২০ হতে ১৮০ ধরনের কেমিক্যাল দরকার হয়। যে কারণে পরিবেশ দূষণ হয় বেশি। এ থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ট্যানারি গুলোকে একটি পরিবেশসম্মত স্থানে স্থানান্তরের লক্ষ্যে ধলেশ্বরী নদীর তীরে সাভার এলাকায় ২শ’ একর জমির উপর বিসিক চামড়া শিল্পনগরী স্থাপন করছে ।
প্রকল্পের কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধণাগা্র নির্মাণের কাজ শতকরা ৯৩ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ আগামী ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে মন্ত্রি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
তিনি জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন তথা দেশের উন্নয়নের জন্য শিল্পায়নের উপর জোর দেন। তবে যদি কোন শিল্প-কারখানা জন সাধারণের স্বাস্থ্যহানীর কারন হয়ে দাড়ায় তবে তা স্থাপন করতে দেওয়া হবে না বলে উল্লেখ করেন। তাই সরকার প্রচুর টাকা ব্যয় করে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ প্রচেষ্টাকে কেউ নৎসাত করতে পারবে না বলে জানান। ট্যানারি গুলো যাতে কোন প্রকার ক্ষতির মুখে না পড়ে সে জন্য ১২৯টি ট্যানারি প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮২ কোটি ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে মন্ত্রি জানান।
প্রকল্পের কর্মকর্তারা মন্ত্রিকে জানান যে, সাভারস্থ চামড়া শিল্পনগরীর মূল কাজ এর মধ্যে শেষ হয়েছে। সূত্রঃবাসস
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম