Site icon

নাচোলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপবাদের অপপ্রচারের প্রতিবাদে শিক্ষক সমাজের স্বারকলিপি ও শাস্তি দাবী

নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
চাপাই নবাবগঞ্জ নাচোল উপজেলার সূনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুঠইল মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট অপবাদের প্রতিবাদে স্বারক লিপি  দিয়েছেন নাচোল উপজেলা সরকারী প্রথমিক শিক্ষক সমাজ। মঙ্গলবার সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে নাচোল  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত স্বারকলিপি প্রদান করেছেন সাধারণ শিক্ষকরা। এই সময় বিভিন্ন সরকারী স্কুলের প্রধান সহ অন্যান্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।

স্বারক লিপিতে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাইমারী বিদ্যালয়ের প্রায় ৭০ জন শিক্ষক তাদের সাক্ষর প্রদান করেছেন। সবাই এই সাজানো ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও মিথ্যাচারের দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
স্বারকলিপিতে উল্লেখ রয়েছে যে, ফেসবুকে মোঃ খায়রুল ইসলাম নামের একজন (বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের  শারিরীক শিক্ষা শিক্ষক ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সৈনিক ) সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সহকারী শিক্ষক মোঃ আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নেক্কারজনক মিথ্যা অপবাদ প্রচার করে আসছে। বিভিন্ন সময়ে নানা সাজানো ও বিকৃত মস্তিষ্কপ্রসূত কাল্পনিক কাহিনী বানিয়ে মানহানীর অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে।

যার সারমর্ম হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে, গুঠইল মডেল সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের  সহকারী শিক্ষক একজন ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছে। সেই পোস্টে কোন ভিকটিম বা অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করেনি৷ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসলে গত ১৮/০৯/২০১৮ তারিখে তার সম্পর্কে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হয় যাতে উল্লেখ রয়েছে, গত ১ম ও ২য় রমজানের ঐ মেয়েটি ধর্ষিত হয়েছে। আজ থেকে পাচ মাস পূর্বের এহেন ঘটনা ঘটার পরেও এত দিন কোন অভিযোগ বা মৌখিক কোন প্রশ্ন উঠেনি। অথচ পাচ মাস পর এমন অভিযোগ সত্যি সন্দেহজনক, উদ্দেশ্য প্রণদিত, দুঃখদায়ক, কষ্টদায়ক ও হতাশাজন।
অভিযোগের ভাষা ও গল্প দেখে এটা মনে হচ্ছে  যে,  তা সম্পুর্ণ কাল্পনিক ব্যাক্তিস্বার্থ পূরণের উদ্দেশ্যে এহেন হীন চক্রান্তমুলক কাজ করে চলেছে।

শিক্ষক সমাজের দেয়া স্বারক লিপিতে আরো উল্লেখ্য আছে , “আমরা   জানত পেরেছি যে পারিবারিক শত্রুতার জেরে মোঃ খাইরুল ইসলাম অভিযুক্ত মোঃ আতিকুর রহমানকে অন্যায়ভাবে পরাজিত করতে না পারায় তার ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করে অর্থিক বা ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার মানসে এহেন ন্যাক্কার জনক মিথ্যা লেপন করে চলেছে। যা  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সূনাম ক্ষুন্যের অপচেষ্টার পাশাপশি পুরো প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনাকে কুলসিত করার হীন ষড়যন্ত্র চলছে৷ শিক্ষক সমাজের পক্ষ থেকে এহেন মিথ্যা অপপ্রচারের প্রতি ধিক্কার ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

 

স্বারক লিপিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্তের দাবী জানানোর পাশাপাশি এহেন মিথ্যাচারের কোন শাস্তি বা স্বরুপ উদঘাটন না হলে শুধু ঐ অভিযুক্ত শিক্ষকই নয় বরং গোটা উপজেলা শিক্ষক সমাজের সম্মান হানী ঘটবে বলেও জানান।
উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে মিথ্যাভাবে শিক্ষক সমাজ ও প্রতিষ্ঠানের সূনাম নষ্টের চেষ্টা করা হলে শিক্ষক সমাজ তার প্রতিহত করার হবে।

প্রসঙ্গত, মোঃ খাইয়ুল ইসলামের সাথে মোঃ আতিকুল ইসলামের পরিববারের দীর্ঘ দিনের শক্রুতা রয়েছে। নানা সময়ে মামলা হামলা করেও কোন সুফল করতে না পারায় মিথ্যা ও সাজানো নাটকের সাহায্যে ফায়দা হাসিলের হীন অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে৷

Exit mobile version