কৃষিসংবাদ ডেস্কঃ বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেছেন, পাটকাঠি থেকে ‘অ্যাকটিভেটেড চারকোল’ উৎপাদন দেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। আজ বুধবার চারকোল মালিকদের সাথে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে এক মত বিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব এম এ কাদের সরকার, অতিরিক্ত সচিব গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য্য, বিজেএমসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) হুমায়ূন খালেদ, মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. রেজাউল কাদের, আবু ছাইদ শেখসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় চারকোলের বিষয়ে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রথম ২০১২ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে পাটকাঠি থেকে অ্যাকটিভেটেড চারকোল উৎপাদন শুরু হয়। ওই বছরই সর্বপ্রথম চীনে এ পণ্য রপ্তানী করা হয়।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোলের চাহিদা রয়েছে জানিয়ে সভায় বলা হয়, দেশে এ পণ্য উৎপাদনের ব্যাপ্তি বাড়লে আগামীতে জাপান, ব্রাজিল, তুর্কিস্থান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, কানাডা, মেক্সিকোসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোল রপ্তানি সম্ভব হবে।
বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এ কার্বন ব্যবহৃত হচ্ছে জানিয়ে সভায় বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ থেকে ১২টি চারকল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হল- সানবিম কর্পোরেশন, মাহফুজা এন্ড আহান এন্টারপ্রাইজ, জামালপুর চারকল লিমিটেড ও রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড প্রভৃতি।
বর্তমানে জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে বাণিজ্যিকভাবে চারকল উৎপাদন শুরু হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়।
সভায় আরও জানানো হয় যে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে যদি ৫০ ভাগ পাটকাঠি চারকল উৎপাদনে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তবে প্রতিবছর প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টন চারকল উৎপাদন সম্ভব হবে। যা বিদেশে রপ্তানী করে প্রতিবছর প্রায় ২ হাজার ৫’শ কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে। একই সঙ্গে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে।
সভায় প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি বলেন, নতুন এ খাততে যে সকল সমস্যা রয়েছে তা সরকার অবগত আছে। এ সমস্যা দূর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে খুব শিগরিই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আয়োজন করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। চারকোল শিল্পের বিকাশের জন্য সকল পক্ষের সার্বিক সহযোগিতা চান প্রতিমন্ত্রী। বাসাস।।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম