প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে
পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ
প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কেবল শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে না, তাদের চিন্তার প্রসারতা বাড়ায়। গবেষনার মাধ্যমে সৃষ্টি করে নতুন জ্ঞানের যা যুগের চাহিদা পূরনে গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখে। একবিংশ শতাব্দী তথ্য প্রযুক্তির যুগ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে বিশ্ব প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার বিকল্প নেই। আমি মনে করি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় চতুর্থ শিল্প বিল্পবের গুরুত্ব উপলব্ধি করে পাঠ্য কারিকুলাম যুগোপযোগী করে সাজাবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলবে বিশ^ নাগরিক হিসেবে। গতকাল বুধবার বিকালে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(পবিপ্রবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির ভাষনে রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সমাবর্তন বক্তা ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী ও বিশেষ অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুনর রশীদ।
রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষনে শিক্ষার্থীদের উদেশ্যে বলেন, জ্ঞানের এ বিশাল রাজ্যে শুধু পাঠ্যপুস্তক অধ্যয়নে সীমাবদ্ধ থাকলেই চলবে না। পাঠ্যবিষয়ে সাথে সাথে বর্হিজগতের জ্ঞান ভান্ডার হতে জ্ঞান আহরণ করতে হবে। নিজেকে কর্মী ও জ্ঞানী করে তোলাই হবে তোমাদের মূল লক্ষ্য। তোমাদের উচিত ত্যাগ ও সত্যের অভিমুখী হওয়া। সেই সাথে দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে সুষ্ঠ ও সবল মনের অধিকারী হওয়া। সদাচারন, সদালাপ, উচ্চ চিন্তা ও সহজ জীবনাচারণ তোমাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। সেই সাথে থাকতে হবে কল্পনাশক্তি যা মানুষকে বড় করে, ভাবনার জগতকে প্রসারিত করে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, শিক্ষা জীবন শেষে তোমরা আজ কর্ম জীবনের পথে পা বাড়াচ্ছো। মনে রাখবে, কর্মজীবন নানা ঘাত-প্রতিঘাতে বিক্ষুব্ধ তরঙ্গের ন্যায়। তোমারা তোমাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা ও দক্ষতা দিয়ে সেই ঝঞ্ঝা-বিক্ষুব্ধ পথ পাড়ি দেবে। এ সমাজ ও দেশ তোমাদের অনেক দিয়েছে। তাই দেশ ও সমাজের প্রতি তোমাদের দায়িত্ববোধ অনেক। মেধা ও কর্মের মাধ্যেমে তোমরা এ মাতৃভ‚মির কল্যান করবে, বাংলাদেশকে বিশে^র বুকে তুলে ধরবে উজ্জলভাবে।
এই দ্বিতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রিসহ ২ হাজার ৯২৮ জনকে ডিগ্রি প্রদান করেন। এর মধ্যে শিক্ষা জীবনে অসাধারন কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ ৬৩ জনকে চ্যান্সেলর স্বর্নপদক প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি।