প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে
মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:
প্রশিক্ষণ থেকে ফিরে : শেরপুরের নকলা উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এইও) কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মনি ৭০ তম বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে নিজের কর্মস্থলে ফিরে এসে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে ময়দানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। এরমধ্যে উপজেলায় বিভিন্ন এলাকায় স্থাপিত রাজস্ব খাতের অর্থায়নে বোরো ধানের প্রদর্শনী সহ বিভিন্ন কৃষি প্রদর্শনী পরিদর্শন উল্লেখযোগ্য। তাঁর নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী ব্যস্ততার মধ্যে ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে চলমান বিভিন্ন কৃষি উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শনসহ বেশ কয়েকটি বোরো ধানের প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শনসহ নকলা শহরের বেশ কয়েকটি কীটনাশক ও সার-বীজের ডিলারের দোকান পরিদর্শন করেন।
চন্দ্রকোনা ইউনিয়নে বোরো ধানের বিভিন্ন প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শনের সময় তাঁর সাথে ছিলেন ওই ব্লকে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) মো. মশিউর রহমান ও মো. আব্দুল মোতালেবসহ সংশ্লিষ্ট কৃষক-কৃষাণীগন। একই দিন সন্ধ্যায় নকলা পৌর বাজারের জহুর উদ্দিন এ্যান্টারপ্রাইজ ও জয়েন উদ্দিন এ্যান্টারপ্রাইজ নামীয় কীটনাশক ও সার-বীজ ডিলারের দোকান পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকির মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ। দেশর অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই কৃষকের মাঠে নিরলস কাজ করায় কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা (এইও) কৃষিবিদ শেখ ফজলুল হক মণির প্রতি সন্তুষ প্রকাশ করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাশ।
তিনি বলেন, দেশের সকল কৃষি কর্মকর্তারা যদি কৃষি অর্থনীতির কথা বিবেচনায় এনে মাঠে কাজ করেন তাহলে অন্তত কৃষি খাতে করোনা ভাইরাসের ক্ষতিকর প্রভাব পরবেনা বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন। কোন স্তরের কৃষি কর্মকর্তাদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ব্যক্তিগত নিরাপত্ত সামগ্রী (পিপিই) সরবরাহ করা হয়নি। ফলে স্বাভাবিক কারনেই সকল স্তরের কৃষি অফিসারগন করোনা ভাইরাসের ঝুঁকিতে আছেন বলে অনেকে মনে করছেন।