মোস্তাফিজুর রহমান,
“Continuity Education with a one health focus” এই বিষয়কে কেন্দ্র করে এবছর পালিত হল বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবস। এই দিনের সম্মান রক্ষায় বিনামূল্যে প্রাণির চিকিৎসা ও ভ্যাক্সিনেশন ক্যাম্প করার মাধ্যমে দিবসটি উৎযাপন করেছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্স অনুষদ। আয়োজনে ছিল বাংলাদেশ ভেটেরিনারি স্টুডেন্ট এ্যাসোসিয়েশন হাবিপ্রবি শাখা।
সমাজের মানুষের কাছে এই দিনের গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি প্রাণি স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য দিনাজপুরের ৮নং সংকর ইউনিয়নের স্কুল মাঠে বিনামুল্যে ভ্যাক্সিনেশন চিকিৎসা ও ওষুধ প্রদান করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ খালেদ হোসেন, প্যারাসাইটোলজি এবং প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ হায়দার আলি, ফার্মাকলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ মাহমুদুল হাসান, এবং ডাঃ মিসরাত মাসুমা পারভেজ ও দিনাজপুর সদর উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জণ ডাঃ গোলাম কিবরিয়া।
সেখানে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি যে রোগ হচ্ছে যেমন, বাদলা, এন্থ্রাক্স , পিপিআর এর টিকা প্রদাণ করা হয়, পাশাপাশি প্রাণির কৃমিমুক্ত করণের সকল ওষুধ বিনামুল্যে প্রদান করা হয় এলাকা বাসীর মাঝে। আর অনান্য প্রাণির সকল চিকিৎসা করা হয়।
এই দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে ডাঃ মাহমুদুল হাসান বলেন, আমরা যেমন নিজেদের সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করি, ঠিক প্রাণির ক্ষেত্রেও তা করতে হবে। এই দিনে শুধু চিকিতসায় নয় মানুষকে সচেতন করার মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করার প্রচেষ্টা হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আশেপাশের গ্রামের লোকদের সহায়তা করে আসছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে যেমন ফান্ড থাকে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এই দিনেও ফান্ড দিলে একসাথে সারা দেশের কাজ করা যাবে।
প্যাথোলজি এন্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ হায়দার আলী বলেন, দেশের প্রাণি সম্পদ উন্নয়নের জন্যভ সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ও জরুরী হল পোল্ট্রি এবং ডেইরি আইন তৈরি করা। যার মাধ্যমে যেমন মান নিয়ত্রন সম্ভব পাশাপাশি অপচিকিৎসার ক্ষতি থেকে এই সেক্টোরকে রক্ষা করা যাবে। আর মারাত্বক রোগ গুলো প্রাণি হতে মানুষে আসে বিধান মানুষের যেমন কমিউনিটি হাসপাতাল এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে কয়াজ করে সেই রকম ভেটেরিনারি সেক্টোরকেও ইউনিয়ন পর্যায়ে একসাথে কাজ করার ব্যবস্থা করলে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি ও অর্থনৈতি নিশ্চিত করা যাবে।
মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান ডঃ মোঃ খালেদ হোসেন বলেন, কোন দেশের লাইফস্টোক এর অবস্থা দেখে তার জনস্বাস্থ্যের অবস্থা বোঝা যায়। সঠিক দৈহিক বৃদ্ধি ও রোগমুক্ত সুস্বাস্থ্য পাখি প্রাণি মাধ্যমেই আমাদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত হবে ।আমাদের এই প্রোগ্রাম জনস্বার্থে এবং জনসচেতনার জন্য, আমরা খামারীদের বোঝানে অনেকটাই সফল। তবে আময়াদের ভেটেরিনারি সেক্টোরের জনবল বাড়ানো এখন সময়ের দাবী। প্রতি ইউনিয়ন পর্যায়ে ভেটেরিনারি সার্জন নিয়োগ দেয়া হবে আমাদের প্রাণিসম্পদ উল্লেখ্যযোগ্য অবস্থান অর্জন করবে।এই সময় ডিভিএম লেভেল ৪, সেমিষ্টার ২ সহ সকল লেভেলের ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম