কৃষিসংবাদ ডেস্কঃপেঁয়াজের বাম্পার ফলন
পেঁয়াজ উৎপাদনে
নগরকান্দা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, নগরকান্দা উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ১৪ হাজার ৮২৩ হেক্টর। এর মধ্যে এ বছর ৬ হাজার ৩শ’ পাঁচ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। পেঁয়াজ চাষের জন্য জমির পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর। তবে দিন দিন এ উপজেলায় পেঁয়াজ আবাদের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এ বছর ৮শ’ পাঁচ হেক্টর বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে।এলাকার কৃষক হাফিজ আলী বলেন, পেঁয়াজ চাষে উৎপাদন খরচ বাবদ প্রচুর টাকা ব্যয় হয়। চাষ লাভজনক করতে সরকারের উচিৎ সময় মতো এবং ন্যায্য মূল্যে সার, কীটনাশক, ডিজেল ও বিদ্যুৎ সরবরাহসহ কম সুদে কৃষি লোনের ব্যবস্থা করা। উৎপাদিত পেঁয়াজ সংরক্ষণে সহযোগিতা ও পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য পাওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে সরকারকেই।জেলার নগরকান্দা, সালথা, বোয়ালমারী, মধুখালী, সদরপুর, চরভদ্রাসন এবং ভাঙা উপজেলাসহ বৃহত্তর ফরিদপুরে পেঁয়াজ আবাদ বেড়েছে অনেক গুণ।নগরকান্দা উপজেলা কৃষি অফিসার আশুতোষ কুমার বিশ্বাস বলেন, কোন ধরনের রোগ বালাই ও দুর্যোগে ক্ষতি না হলে এ বছর নগরকান্দা উপজেলায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশা করছি, এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন ৫৫ হাজার টন ছাড়িয়ে যাবে।জেলার বোয়ালমারীর পেঁয়াজ চাষি পরিতোষ কিতুনিয়া বলেন, চলতি মৌসুমে আমি ২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। আশা করছি ভালো হবে। তবে ভালো দাম না পেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।সালথা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও আদর্শ কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমার পরিবার ১শ’ একর জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছে, এর মধ্যে ফরিদপুরী জাতই বেশি। তিনি বলেন, দেশে ফরিদপুরী জাতের চাহিদা তুলনামূলক অনেক বেশি। এ কারণে এ জাত চাষ করা হয়েছে।চরভদ্রাসন উপজেলার পেঁয়াজ চাষি আলী প্রামাণিক জানান, পেঁয়াজ চাষাবাদ ভালো হলেও উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি।ফরিদপুর জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর চন্দ্র ভৌমিক জানান, জেলায় চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ১৮১ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদে। তিনি বলেন, সেখানে আবাদ মৌসুম শেষ হওয়ার আগেই এই পর্যন্ত ২৯ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আশা করছি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি চাষাবাদ হবে জেলায়। সংবাদ।।