নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস : আজ ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ যথাযোগ্য মর্যাদায় ফরিদপুরে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস পালিত হয়। ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জেলা প্রশাসক জনাব কামরুল আহসান তালুকদারের নেতৃত্বে একটি শোভা যাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগার ফরিদপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব ড.মো: নূরুল হুদা আল মামুন, ঊর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জনাব মো: তানভীর হোসেন, ডিএই এর উপপরিচালক জনাব মো: রফিকুল ইসলাম সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
শোভা যাত্রা শেষে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক গবেষণাগারে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মো: নূরুল হুদা আল মামুন।
মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘আমাদের একদিকে আবাদি জমি কমছে ১% হারে, অন্যদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে ১.৩৭% হারে। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মাটির স্বাস্থ্য ঠিক রেখে আবাদ বাড়াতে হবে। এজন্য সকলকে এখনি সচেতন হতে হবে।’
ডিএই এর উপপরিচালক জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক জনাব কামরুল আহসান তালুকদার। তিনি বলেন, ফরিদপুরের মাটির অবক্ষয় রোধ করতে সকল কৃষক জনতা একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা ফরিদপুরের মাটিকে কৃষির জন্য আদর্শ মাটি হিসেবে উন্নীত করতে চাই।’ তিনি এ ব্যাপারে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এতে আরো বক্তব্য প্রদান করেন, মশলা গবেষণা কেন্দ্রের পিএসও ড. মো: আলাউদ্দিন, আন্তর্জাতিক সংস্থা CIMMYT এর ফরিদপুর অফিস প্রধান জনাব মো: জাকারিয়া, নারী উদ্যোক্তা কৃষাণী শাহিদা বেগম, কেচো সার উদ্যোক্তা তানিয়া আক্তার প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন সংস্থা, কৃষক কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা বলেন, মাটি একটি অনবায়ন যোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ। একে বারবার নবায়ন করা যায় না। ভূমিক্ষয় হওয়ার ফলে কৃষকরা সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ এতে দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে আজকে ধংসের মুখে পতিত হচ্ছে মৃত্তিকা সম্পদ। এসময় বক্তারা আরো বলেন, খাদ্য ও বাসস্থানের প্রধান ও অন্যতম মাধ্যম এই মৃত্তিকা, তাই এর নিরাপত্তার জন্য সঠিক ব্যবস্থাপনা দরকার। মৃত্তিকার উন্নয়ন মানেই ফসলের গুণগত মানের উন্নতি এবং তা নিশ্চিত করে বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা। একই সাথে জলবায়ু পরিবর্তন রোধের জন্য মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনাও একান্তভাবে জরুরী বলে উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ মৃত্তিকা ও পানি অত্যন্ত সীমিত। এই সম্পদের উপযুক্তভাবে ব্যবহার করে ফলন বাড়াতে হবে। সেজন্য বেশি বেশি জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। কারণ জৈব সার মাটির প্রাণ।’ পরিশেষে তিনি আগত সকল সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।