আবুল বাশার মিরাজ
দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি শিক্ষার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশ ও দেশের বাইরে যেটি বাকৃবি কিংবা বাউ নামেই এখন বেশী পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে সর্বমোট ১৩ টি হল। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল অন্যতম। কাঠামো ও সৌন্দর্য দুইটি বিষয় বিবেচনায় আনলে এটিই হবে দেশের শীর্ষস্থানীয় হল। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও হলটির স্বর্ণকমল ফ্লোর বার্ষিক উৎসবের আয়োজন করেছিল। আলপনা আকার মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এ উৎসবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা আরম্ভ হয়। সারা রাত ধরে আলপনা আকায় ব্যস্ত সময় পার করে ফ্লোরের সকল সদস্য। পরদিন ময়মনসিংহের মেছুয়া বাজার থেকে উৎসবের জন্য বাজার করা হয়। বাজারে অংশ নেয় হলের জ্যোষ্ঠ সদস্যদের সাথে কনিষ্ঠরাও।
তিন দিনব্যাপী এ উৎসবে আলাদা মাত্রা যোগ করার জন্য বেশ কিছু দিন আগে থেকেই স্বর্ণকমল প্রিমিয়ার লীগের আয়োজন করা হয়। ওই প্রিমিয়াার লীগে ফ্লোরের মোট ৬টি দল অংশ নেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ওই জমজমাট খেলা। এছাড়াও ছিল প্রীতি ফুটবল খেলা। হলের সুইমিং পুলে ওয়াটার পোলো খেলা। লুডু খেলা, কেরাম খেলা, টেবিল টেনিস, হাড়ী ভাঙ্গা, বিস্কিট দৌড়সহ বিভিন্ন ইনডোর-আউটডোর খেলা।
এবছর উৎসবটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন রেজাউল করিম হিরু, গোলাম হায়দার জ্যোতি, তায়েফ রিয়াদ, আল আমিন শেখ, মুনতাসির সৈকত, সৌরভ, তাওহীদ, মেহেদী হাসান, খালেদ সাইফুল্লাহ, আবিদ, শাহরিয়ার শোভন, শাকির মাহমুদ, খান আসিফ তপু, শাহরিয়ার মনির, তুলেশ, মির্জা নাজমুল ইসলাম, রুমেল, সাদ্দাম, রোম, রিপন, বাবু, শুভ, নাফিজ, সানি, রনি, রুমেল, সাতিলসহ অনেকে। এছাড়াও উৎসবে যোগে দেন ফ্লোরের পুরাতন আবাসিক ছাত্ররা।
একসাথে খাওয়া দাওয়া শেষে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ভ্রমনে মাতেন হলের ছাত্ররা। এছাড়াও শেষদিন ছিল জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উৎসব উপলক্ষে পুরো হল বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়। আগামী একটি বছরের জন্য উৎসবটি স্মৃতিতে ধারণ করে রাখার জন্য চলে ফটো শেসন। নেচে গেয়ে, রং মাখিয়ে ১২০০ একরের পুরো ক্যাম্পাসে জানান দেয় বঙ্গব›ধু শেখ মুজিব হলের স্বর্ণকমল ফ্লোরের আবাসিক ছাত্ররা।