মোঃ মোশারফ হোসেন, (শেরপুর)ঃ
বরিশালের তরমুজে আয়ের পথ
শেরপুরে আগাম তরমুজ বিক্রির ধুম পড়েছে। বরিশালে উৎপাদিত আগাম তরমুজ বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। কেউ শখ করে, কেউ টাকার গরমে, আবার কেউবা সন্তান বা পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরণে ওইসব তরমুজ চড়াদামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
তরমুজ বিক্রেতা নকলা উপজেলার লাভা এলাকার নুরুল ইসলাম জানান, তারা রাজধানী ঢাকার বিশ্বরোড এলাকার এক আড়ত থেকে প্রতিশ’ তরমুজ ১৫ হাজার টাকা থেকে ১৬ হাজার টাকায় কিনেছেন। তাছাড়া ট্রাক ভাড়া (পরিবহন) বাবদ এক হাজার ২০০ টাকা থেকে এক হাজার ৫০০ টাকা খরচসহ দিতে হয় বাজার ইজারা খরচ। আর রাস্তায় বিভিন্ন টোল আদায়তো আছেই। তাতে করে প্রতিশ’ তরমুজ নকলা পর্যন্ত আনতে মোট খরচ হচ্ছে ১৬ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১৭ হাজার ৮০০ টাকা করে। ফলে বিক্রির পূর্ব পর্যন্ত প্রতিটি তরমুজের পিছনে খরচ হয়েছে ১৭০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা। কিন্তু তারা প্রতিটি তরমুজ ২৫০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা করে বিক্রি করছেন।
পৌরসভাধীন কুর্শাবাদাগৈড় এলাকার অন্য এক তরমুজ বিক্রেতা সুরুজ্জামান বলেন, তারা দুইজনে মিলে প্রতি বছর ঢাকা থেকে আগাম তরমুজ এনে বিক্রি করে থাকেন। তাতে বেশ লাভবান হন তারা। গত সপ্তাহে তারা এক ট্রাক তরমুজ এনে বিক্রি করেছেন, তাতে লাভ হয়েছিল প্রায় ৬ হাজার টাকা। তরমুজ বিক্রির লাভের টাকা দিয়েই তাদের সংসার ও ছেলে-মেয়ের শিক্ষা খরচ হয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, শেরপুর থেকে শাক-সবজি বহন করা ঢাকা থেকে ফিরতি ট্রাকে তারা তরমুজ আনায় পরিবহন খরচ কিছু কম লাগছে। তানা হলে প্রতি ট্রাক তরমুজ বিক্রি পর্যন্ত তাদের খরচ হতো ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা।
শিশু সন্তান নিয়ে বাজারে আসা তরমুজ ক্রেতা আসলাম উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আগাম তরমুজের স্বাদ মৌসুমী তরমুজের মতো হওয়ার কথা নহে, কিন্তু সন্তানের আবদারের জন্য তিনি ২৭০ টাকায় একটি মাজারী তরমুজ কিনতে বাধ্য হয়েছেন। তবে সন্তানের মুখে হাসি দেখে তার মুখেও হাসি ফুটে উঠেছে। অন্য এক ক্রেতা বলেন, দেশের কোন ফল শতভাগ নিরাপদ পাওয়া বর্তমানে কঠিন হয়ে পড়েছে। এই আগাম তরমুজ যে নিরাপদ হবে, তা বুঝার উপায় নেই। তাই ইচ্ছা থাকা সত্বেও তিনি এই আগাম তরমুজ চড়া দামে কিনতে চিন্তিত হয়ে আছেন।