Site icon

বিশ্বের ১১৮টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরিকৃত পাটপণ্য

                                                                                  দেশে উৎপাদিত বহুমুখী পাটপণ্য বিশ্বের প্রায় ১১৮টি দেশে রফতানি হচ্ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পরিবেশবান্ধব পJute itemণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকায় বহুমুখী পাটপণ্যের খাতটি দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।
পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ বাস্তবায়নের ফলে স্থানীয় বাজারে পাটপণ্যের বিক্রি ও চাহিদা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ পাট ও পাটপণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে প্রথম ও পাট উৎপাদনে বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
জাতীয় রপ্তানি আয়ের শতকরা ৪ দশমিক ৯ ভাগ পাটখাত থেকে অর্জিত হচ্ছে। এই খাত রপ্তানি আয়ের বৃহত্তম খাতও বটে। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ৩ কোটি ৩৪ লাখ পাটের ব্যাগ বিক্রি হয়েছে এবং ব্যাগের বাৎসরিক চাহিদা ১০ কোটি ব্যাগ থেকে বেড়ে ৭০ কোটি ব্যাগে উন্নীত হয়েছে।
বর্তমানে পাটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় এবং ভবিষ্যতে এ হার আরো বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকায় পাট ও পাটপণ্য দেশের অর্থনীতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার (জিডিপিসি) এর তত্ত্বাবধানে পাটপণ্য বহুমুখীকরণের ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এ পর্যন্ত ২৫০ জন সফল উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে।
বিজেএমসি বছরে প্রায় ১২শত কোটি টাকা মূল্যমানের জুট জিও টেক্সটাইল উৎপাদনে সক্ষম। বেসরকারি পাটকলগুলোও জুট জিও টেক্সটাইল উৎপাদনে সক্ষমতা অর্জন করেছে। স্থানীয়ভাবে এলজিইডি, সড়ক ও সেতু বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, রেলপথ মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের উন্নয়ন কাজে বছরে ৭১৬ দশমিক ৫২ কোটি টাকার জেটজিটি ব্যবহারের চাহিদা রয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশে ধান, চালসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পরিবহণ, প্লাস্টিক ও পলিথিনের পরিবর্তে পাটের তৈরি ব্যাগ ব্যবহারের জন্য ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০’ প্রণীত হয়েছে। উক্ত আইনের ধারা-১৪ এ পণ্যে পাটজাত মোড়ক ব্যবহার না করে কৃত্রিম মোড়ক দিয়ে কোনো পণ্য বা পণ্যসামগ্রী মোড়কজাতকরণ, বিক্রয়, বিতরণ বা সরবরাহ করলে বা করার অনুমতি প্রদান করলে অনুর্ধ্ব এক বৎসর কারাদন্ড বা অনধিক পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবে।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম
Exit mobile version