ত্রাণ হিসেবে আমিষ
কৃষি সংবাদ ডেস্ক
ত্রাণ হিসেবে আমিষ : গত ২/৪/২০২০ তারিখ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটির উদ্যোগে করোনা কালীন ত্রাণ হিসেবে প্রাণিজ আমিষ বিতরণ রাজশাহীর মেহেরচন্ডী গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। সোসাইটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদারের সার্বিক সহযোগিতায় ও সাধারন সম্পাদক ড. মোঃ হেমায়েতুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস দূর্যোগের মধ্যে বাংলাদেশও চরম ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। ইতিমধ্যে সরকারী নির্দেশে সকল ধরনের অফিস আদালত বন্ধ করা হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সব ধরনের গনপরিবহন। দেশের সকল জনগণকে বাসার ভিতর অবস্থান করতে বলা হয়েছে। এতে করে রাস্তাঘাটে মানুষজনের চলাচল একেবারেই কমে গেছে। আর তাতেই বিপাকে পড়েছেন রিকশা চালক, ভ্যান চালকসহ দিন মজুর শ্রেণীর লোকজন। আবার দেশের এই লকডাউন অবস্থায় প্লোট্রি ও দুগ্ধ খামারীরাও চরম বিপদের মধ্যে দিন পার করছে। খামারীরা তাদের উত্পাদিত মুরগী, ডিম ও দুধের বিক্রি করতে না পারায় তারা নায্য মূল্যও পাচ্ছে না।
এমন অবস্থায় কিছু অসহায় মানুষ ও খামারীর পাশে এসে দাড়িয়েছে দাঁড়িইয়েছে বাংলাদেশ লাইভস্টক সোসাইটি। সোসাইটির তার দুঃস্থ খামারি সদস্যের মাঝে ত্রাণ হিসেবে প্রাণিজ আমিষ ৩০ টি করে ডিম, ৫কেজি চাল ও ২কেজি আলু বিতরণ করেন। এছাড়া একজন ক্ষুদ্র খামারীর কাছ থেকে নায্য মূল্যে ডিম ক্রয় তাকেও সোসাইটির পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হয়। আপাত দৃষ্টিতে খুব স্বল্প পরিসরে শুরু করলেও এটি বড় আকারে অব্যাহত রাখার ইচ্ছা রয়েছে। ত্রান বিতরনের সময় উপস্হিত ছিলেন সোসাইটির সাংগাঠনিক সম্পাদক ডাঃমোঃরিয়াজুল ইসলাম ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ডাঃমোঃসাইফুল ইসলাম। ত্রাণ বিতরনের সময় নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে।
সোসাইটির সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ জালাল উদ্দিন সরদার মনে করেন এতে তিনটি লাভ হবে- প্রথমতঃ করোনা থেকে বাচতে ব্যাক্তিগত রোগ প্রতিরোধ তৈরি হবে, দ্বিতীয়তঃ আমার কৃষক যে রোঁদ/ ঝড় উপেক্ষা করে আমাদের জন্য আমিষ তয়রিতে সারা বছর কাজ করছে সে এই আপদ কালীন সময় কিছুটা হলেও উপকৃত হবে, তৃতীয়তঃ আমারা না বুঝে পোল্ট্রি/ ডিম/ দুধ নিয়ে যে অপপ্রচার চালাচ্ছি – এর ফলে জনসাধারণ আস্থা পাবে। সোসাইটির সম্পাদক ড. মোঃ হেমায়েতুল ইসলাম আরিফ মনে করেন, আমরা করোনা নিয়ে যতই সচেতন হই, এই বেয়সিক সমস্যায় করোনা ইনফেক্সান হতে আমাদের নিজেকে বাঁচান প্রায় অসম্ভব। কাজেই ব্যাক্তিগত রোগ প্রতিরোধ তৈরিতে মনোযোগ দেয়ায় শ্রেয়। তাই সোসাইটির পক্ষ হতে এ ধরনের কাজ্রক্রম নেয়া হয়েছে।