বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় – বাকৃবির প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত

বাকৃবির প্রতিষ্ঠা দিবস

 বাকৃবি প্রতিনিধি

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৭তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হয়েছে। শোভাযাত্রা, ও বৃক্ষরোপণের মধ্য দিয়ে শুক্রবার প্রতিষ্ঠা দিবস পালন করা হয়। শোকের মাস হওয়ায় তেমন কোনো কর্মসূচি হাতে নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে আগামী সেপ্টেম্বরে জাঁকজমকপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যালিপ্যাডে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের পর পায়রা উড়িয়ে প্রতিষ্ঠা দিবসের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খান, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সচ্চিদানন্দ দাস চৌধুরী, প্রক্টর, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষকবৃন্দ, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। পরে সকলের অংশগ্রহণে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ব মরণ সাগরের সম্মুখে বৃক্ষরোপন করা হয়।

প্রতিষ্ঠা দিবস সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাড়ে ৭ কোটি। তখন প্রতি বছর দেশে ছিল প্রচন্ড খাদ্যাভাব। ক্ষুধা দুর্ভিক্ষে মারা গেছে অসংখ্য মানুষ। ২০১৭ তে জনসংখ্যা ১৬ কোটির কোঠায় পৌঁছেছে। বহুগুণে কমেছে আবাদী কৃষি জমির পরিমাণও। তারপরও বাংলাদেশ খাদ্যে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। আর এ সাফল্যে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বাউকুল, শুকানো পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ, একায়াপনিক্স এর মাধ্যমে মাছ এবং সবজি উৎপাদন, তারাবাইম, গুচিবাইম ও বাটা মাছের কৃত্রিম প্রজননসহ অসংখ্য গবেষণায় রয়েছে বাকৃবির সাফল্য। ধারাবাহিকতায় আজ আমরা বিশ্বর‌্যাংকিংয়ে দেশসেরা হয়েছি। শোকের মাস হওয়ায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করছি না। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে আমরা জাকজমকপূর্ণভাবে পালন করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *