প্রশিক্ষণের সমাপ্তি
বাকৃবি প্রতিনিধি:
প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঃবাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) ৮ দিনব্যাপী “ট্রেনিং অন এগ্রিকালচার ইন দ্যা চেঞ্জিং ক্লাইমেট” শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনি অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) সভাকক্ষে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আইআইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. এস. মাহফুজুল বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক। এসময় বিশ^বিদ্যালয়ের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, বোট্যানিকাল গার্ডেনের কিউরেটর অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, ফিসারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা, সহকারি প্রক্টর সহযোগি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল আলম। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাকৃবিসাসের সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল মিয়া শেখ।
এতে বিশ^বিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার মোট ১৭ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন। আইআইএফএসের আয়োজনে কর্মশালায় কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ। কর্মশালায় বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক ও দেশের জলবায়ু বিষয়ে অভিজ্ঞ বিভিন্ন ব্যাক্তিবর্গ প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বিভিন্ন গবেষণা ও বিশ^বিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম জাতির সামনে তুলে ধরবে।
এসসময় তিনি আরও বলেন, বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হতে হবে শিক্ষার্থী বান্ধব। শিক্ষার্থীদের যেকোন সময় যেকোন প্রয়োজনে বিশ^বিদ্যালযের প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করতে পারবে। জরুরী প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীরা ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়াও যেকোন শিক্ষকের ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে। প্রয়োজনে উপাচার্যের ব্যক্তিগত পরিবহনও ব্যবহার করতে পারবে। আমরা দূর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত, র্যাগিংবিহীন বিশ^বিদ্যালয় গড়ে তুলব। শিক্ষার্থীদের সাস্থ-বীমার আওতায় আনা হবে যার অর্ধেক ব্যয়ভার বহন করবে বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন আর বাকি অর্ধেক বহন করবে শিক্ষার্থীরা। এর ফলে শিক্ষার্থীরা কমমূল্যে উচ্চমানের চিকিৎসা পাবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের জন্য ফান্ড গঠন করা হবে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কর্ণার স্থাপন করা হবে।