বাকৃবি প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ,
সংশ্লিষ্টসূত্রে জানা যায়, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন বিভাগে অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির এক সভায় ভোটদানের পর ব্যালটের ছবি তোলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধের সৃষ্টি হয়। তবে মিটিংয়ের শেষ দিকে আগামী ৯ মার্চ নির্বাচনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পর ফোরামের বেশকিছু শিক্ষকের চাপে পরে সার্কুলেশন স্থগিত রাখা হয়। শিক্ষক সমিতির নিয়ম অনুযায়ী গত ২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ২০১৭ সালের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার কথা থাকলেও শনিবার পর্যন্ত তা ঘোষণা করা হয়নি। এনিয়ে আগামীকাল (রবিবার) শিক্ষক সমিতির মিটিং আহ্বান করা হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী এক শিক্ষকের মোবাইলে ব্যালটের ছবি তোলা নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হট্টগোল হয়।
উল্লেখ্য গত দু’বছর শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ১১ সদস্যের প্যানেলে অধিকাংশ পদে পরাজয়ের সম্মুখীন হয় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম। এছাড়া ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৩ সালের নির্বাচনেও তারা পরাজিত হয়। অথচ ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাকৃবিতে দুই শতাধিক আওয়ামীপন্থী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, ফোরাম তাদের প্যানেল ভোট থেকেও বঞ্চিত থাকায় নির্বাচনে এমন পরাজয় নিয়মিত হচ্ছে। অনাস্থা সৃষ্টি হওয়ায় তাই এবার তারা ভোটের ছবি তোলার মাধ্যমে প্রমাণ রাখতে চাইছে।
অভিযোগের বিষয়ে ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহমান সরকার বলেন, আমরা চাই ভোট হবে গোপনীয়। তবে শিক্ষক সমিতির সর্বশেষ মিটিংয়ে ‘ব্যালট পেপারের ছবি তোলার বিষয়টি’ অ্যাজেন্ডাভূক্ত রাখা ঠিক হয়নি। গতবার শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে ছবি তোলায় এক শিক্ষকের ভোট বাতিল করা হয়।’ তবে তিনি ছবি তোলার বিষয়ে কোন কথা বলেননি।
সোনালী দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. শওকত আলী বলেন, শিক্ষকরা অনৈতিক কোন কাজ করে জাতির সামনে একটি খারাপ উদাহারণ তৈরী করুক সেটা আমরা মেনে নিবনা।
এদিকে ছবি তোলার বিষয়টি অস্বীকার করে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির বলেন, ভোটদান প্রক্রিয়া আধুনিকীকরণ নিয়ে কিছু জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। আগামীকাল (আজ রবিবার) শিক্ষকদের নিয়ে মিটিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
একই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আবুল হাশেম বলেন, অতীতের বিশৃঙ্খলার কারণেই মিটিংয়ে এ বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। তবে ছবি তোলার বিধান থাকলে সোনালী দল নির্বাচনে যাবে না বলে তাদের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়।
*****************