Site icon

বাগেরহাটে ধানের চেয়ে ভূট্টা চাষে দ্বিগুণ দাম পাচ্ছে চাষীরা

ধানের চেয়ে ভূট্টা চাষে

শেখ সাইফুল ইসলাম কবির.সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার,বাগেরহাট

ধানের চেয়ে ভূট্টা চাষে: ধানের বাজারে দাম পাচ্ছে না চাষীরা। তাই বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চাষীরা ধানের পরিবর্তে ভূট্টা চাষ করে দ্বিগুণ দাম পাচ্ছে। যার কারনে চাষীরা ধানের বিকল্প হিসেবে ভূট্টা চাষে বেশি আগ্রহ হচ্ছে। স্বল্প খরচে অধিক ফলন অপরদিকে ধানের চেয়ে দ্বিগুণ দাম পাওয়ায় চাষীরা বেজায় খুশি।


সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার বলইবুনিয়া ইউনিয়নের কিসমতজামুয়া গ্রামের চাষী শাহ আলম খান ৯৯ শতক জমিতে ভূট্টার আবাদ করেন। জমিতে নিজ শ্রম দিয়ে তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বছরে ভূট্রা চাষের জন্য মোরেলগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে সার ও বীজ সহায়তা পেয়েছেন। অগ্রহায়ন মাসে আবাদ করে বৈশাখ মাসের শেষ দিকে ফসলের কর্তন ও বিক্রি শুরু করেন। এক একটি ভূট্টার মোচা পাইকারী ৫ টাকা ও খুচরা ১০ টাকায় বিক্রি হয়। তিনি এ বছরে তার জমিতে সাড়ে ১৩ হাজার মোচা উৎপাদিত হয়েছে। যার পাইকারী মূল্য হবে ৬৭ গাহার ৫ শ’ টাকা। মন দরে ৯ শ’ টাকা। একই জমিতে ধান চাষ করলে তিনি পেতেন ৪০ মন ধান যার বর্তমান বাজার দর সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা।


চাষী আব্দুল বারেক শেখ জানান, তিনি ৬৬ শতক জমিতে ভূট্টা চাষ করেছেন। পাবেন ২৫-২৬ মন। সেখানে ধান চাষ করলে পেতে ১৫-১৬ মন। চাষী হারুন অর রশিদ ৩৩ শতক জমিতে ভূট্টার চাষ করে ৫ হাজার ৭ শ’ মোচা উৎপাদন করেছেন। যার খুচরা মূল্য হবে ২৮ হাজার ৫শ’ টাকা। চাষী শাহ আলম খান জানান, ধানের বাদ দিয়ে ভূট্টা চাষে বেশি লাভবান হওয়া যায়। দামও ধানের চেয়ে দ্বিগুণ। তাই ধানের পরিবর্তে ভূট্টা চাষ করেছেন। ভূট্টা চাষে উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মেজবাহ আহম্মেদ ও বলইবুনিয়া ব্লকের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্লক সুপার ভাইজার মিজানুর রহমান পরামর্শ ও সার্বক্ষনিক সহযোগী তারা পেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সিফাত আল মারুফ জানান, তাপমাত্রা যে হারে বৃদ্ধি সেক্ষেত্রে ভূট্টা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া ধানের চেয়ে ভূট্টার দাম দ্বিগুন। তাই চাষীরা ভূট্টা চাষে কৃষকরা বেশি আগ্রহ হচ্ছে।

Exit mobile version