মৎস্য আড়ত্দার মো. জামাল হাওলাদারের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহ মালিক ১ ট্রলারের মাঝি মো. মফিজুল ইসলাম। তার বাড়ি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে। তিনি জানান, অবরোধের আগের দিন ৬ অক্টোবর সাগর থেকে ফিরে আসেন তারা। পরেরদিন বাড়িতে চলে যান। এই দীর্ঘ অবসর সময়টা তিনি পরিবারের সাঙ্গেই কাটিয়েছেন। তার ট্রলারে মোট ১৭ জন জেলে। সবাই সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে মহাজনের আড়তে ফিরেছেন।
এফবি আজমির শরীফ ট্রলারের মালিক তহিদুল তালুকদার ও এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক মো. রুহুল আমিন চাপরাসি বলেন, অবরোধের সময়ের মধ্যে জাল, ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাবার উপযুক্ত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অবরোধের সময় শেষ হলেই সাগরের উদ্দেশে রওনা হবে ট্রলারগুলো।
জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেন বলেন, শরণখোলার জেলে-মহাজনরা সরকারের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কোনো জেলেকে নদী-সাগরে জাল ফেলতে দেখা যায়নি। এ উপজেলার সহস্রাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলার রাত ১২টার পর থেকেই সাগরে ছুটতে শুরু করবে।
উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধের মধ্যে অসাধু জেলেদের ইলিশ শিকারের খবর পাওয়া গেলেও শরণখোলা তার ব্যতিক্রম। এখানকার কোনো জেলে নিষিদ্ধ সময়ে নদী-সাগরে জাল ফেলেনি। জেলে, মহাজনসহ সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগিতায় এবারের অবরোধ সফল হয়েছে।