Site icon

বারি’তে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ নির্ণয় বিষয়ক সার্ক আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

সার্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

সার্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
সার্ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এবং সার্ক এগ্রিকালচার সেন্টার (এসএসি) এর যৌথ উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ‘ফসলে কীটনাশকের অবশিষ্টাংশ নির্ণয়’ বিষয়ক এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠান আজ ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার বারি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সার্কভুক্ত সাতটি দেশের ১৬ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশগ্রহণ করছেন। পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে সার্কভুক্ত দেশসমূহের প্রশিক্ষণার্থীরা বারি’র কীটতত্ত্ব বিভাগের আন্তর্জাতিক সনদপ্রাপ্ত পেস্টিসাইড এনালাইটিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ফসলে কীটনাশকের অবশিষ্ঠাংশ নির্ণয় সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা লাভ করবেন।

সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি অনুবিভাগের মাননীয় অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সার্ক এগ্রিকালচার সেন্ট্রার (এসএসি) এর পরিচালক ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার এবং বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিয়ারুদ্দীন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কীটতত্ত্ব বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. দেবাশীষ সরকার এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কীটতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. নির্মল কুমার দত্ত। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বারি’র পরিচালকবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান ও বিজ্ঞানীবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটসহ কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের পিপিসি অনুবিভাগের মাননীয় অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ বলেন, এসডিজি অর্জনে বিশ্বব্যাপী প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণ এবং কৃষিকে টেকসই কৃষিতে রূপান্তরিত করা। এটা খুবই কঠিন একটি কাজ। ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আমাদের কৃষকেরা কীটনাশকের ব্যবহার করে থাকে। ফলে উৎপাদিত ফসলে কীটনাশকের কিছু না কিছু প্রভাব থেকে যায় যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করা। আর পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে হলে ফসলে রাসায়নিক কীটনাশকের যথেচ্ছা ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আমি আশা করি পাঁচ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমাদের সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশ থেকে আসা এই প্রশিক্ষণার্থীরা ফসলে কীটনাশকের অবশিষ্ঠাংশ নির্ণয় সম্পর্কে হাতে-কলমে ধারণা লাভ করবে এবং এর মাধ্যমে তারা কৃষকের উৎপাদিত ফসলের কীটনাশকের অবশিষ্ঠাংশ নির্ণয়ের মাধ্যমে সেগুলোকে নিরাপদ খাদ্য হিসেবে প্রত্যয়িত করতে পারবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. আবুল কালাম আযাদ বলেন, ফসলে কীটনাশকের যথেচ্ছা ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন করা। তাই সার্কভুক্ত এ অঞ্চলে ফসলে কীটনাশকের অবশিষ্ঠাংশ নির্ণয়ে সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন।

Exit mobile version