বারি’তে ফুলের উৎপাদন
কৃষি সংবাদ ডেস্কঃ
বারি’তে ফুলের উৎপাদন ঃবাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফুল বিভাগের উদ্যোগে উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে আজ ০৫ মার্চ দিনব্যাপী “মানসম্পন্ন অর্কিড, ক্যাকটাস-সাকুলেন্ট ও বাল্ব-করম জাতীয় ফুলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল এবং সংগ্রহোত্তর ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগ, কেন্দ্র ও উপ-কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর কোর্সের শিক্ষার্থীসহ মোট ৩০ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি “বাংলাদেশে অর্কিড, ক্যাকটাস-সাকুলেন্ট ও বাল্ব-করম জাতীয় ফুলের জাত উন্নয়ন, উৎপাদন, সংগ্রহোত্তর ও মূল্য সংযোজন প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং বিস্তার কর্মসূচী” প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিয়ারুদ্দিন। পরিচালক (উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র) ড. আবেদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. এস. এম. শরিফুজ্জামান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত পুষ্টি ও খামার ব্যবস্থাপনা ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায়। ফুল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফারজানা নাসরীন খান এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফুল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও কর্মসূচী পরিচালক ড. কবিতা আনজু-মান-আরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উইং) ড. মো. মিয়ারুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের কৃষি গবেষণায় ফুল একটি নতুন সংযোজন। ফুল চাষ অধিক লাভজনক হওয়ায় মাঠ পর্যায়ে কৃষকের কাছে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর দেশে প্রায় ১২০০ কোটি টাকা ফুলের বাণিজ্য হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে তা আরও বৃদ্ধি পাবে। কমপক্ষে ২-৩ লক্ষ মানুষ সরাসরি ফুল চাষের সাথে জড়িত। দেশের বৃহৎ নারী জনশক্তিকে ফুল চাষে যুক্ত করে দেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করা সম্ভব।