মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের নকলায় ২০১৭-২০১৮ উৎপাদন মৌসুমে বিএডিসি’র সংগৃহীত বীজ আলুর মূল্য পরিশোধ বাবদ ২৫ টি ব্লকের ৩৩ জন আলু চাষীর মাঝে দ্বিতীয় দফায় এক কোটি ৮৫ লাখ ৩৭ হাজার ৩৪০ টাকার ৩৩ টি চেক বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বিএডিসি হিমাগারের উপ-পরিচালক (টিসি) নকলা, শেরপুর মহোদয়ের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফার ওইসব চেক কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এসময় বিএডিসি নকলা হিমাগার’র উপ-পরিচালক (টিসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, চন্দ্রকোণা ব্লকের আলু চাষী ও চন্দ্রকোণা ইউপি’র চেয়ারম্যান সাজু সাঈদ সিদ্দিকী, ভূরদী গ্রামের আলু চাষী আলহাজ্ব ছাইদুল হক, বানেশ্বরদী গ্রামের চাষী জুয়েল মিয়াসহ ২৫ ব্লকের বিএডিসি বীজ আলু চাষীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএডিসি হিমাগার’র উপ-পরিচালক (টিসি)’র কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-২০১৮ সনের আলু উৎপাদন মৌসুমে নকলা উপজেলায় ২৫টি ব্লকে গড়ে দুইজন করে মোট ৫০ জন আলু চাষী নির্বাচন করে বিএডিসি’র তত্বাবধানে ৩০০ একর জমিতে ২০৪ মেট্রিকটন বিএডিসি’র আলু বীজ লাগানো হয়েছিল। আলু উত্তোলণ শেষে উপজেলা থেকে এক হাজার ৬২৫ মেট্রিকটন বীজ আলু সংগ্রহ করেছিলেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। এ-গ্রেডের বীজ আলু প্রতি কেজি ২০ টাকা করে এবং বি-গ্রেডের বীজ আলু প্রতি কেজি ১৯ টাকা করে ক্রয় করেন তারা। এতে করে উপজেলায় মোট ৩ কোটি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৬৪০ টাকার বিএডিসি’র বীজ আলু ক্রয়-বিক্রয় করা হয়।
বিএডিসি হিমাগার কর্মকর্তাদের পরামর্শ সেবায় ভালো হয়েছে। অপর দিকে বীজ আলুর ভালো দাম পাওয়ায় আলু চাষিরা খুব খুশি। সাজু, ছাইদুল ও জুয়েলসহ বেশ কয়েকজন আলু চাষী জানান, আবহাওয়া আলু চাষের অনুকূলে থাকায় এবং বিএডিসি হিমাগার কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগন নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করায় এবং তাদেরকে সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবা দেওয়ায় ফলন ভালো হয়েছে। তাছাড়া এ বছর বীজ আলুর ভালো দাম পাওয়ায় আলু চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হয়েছেন। আগামীতে উপজেলায় আলু চাষীর সংখ্যা ও জমির পরিমাণ বাড়বে বলে অনেক কৃষক জানান।