সংবাদ ডেস্কঃ
রংপুর অঞ্চলে এবার বোরো মৌসুমে সেচের অভাবে বোরো উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা নেই। সেই সঙ্গে কৃষকদের উৎপাদন খরচও কমবে। এবার গত বছরের চেয়ে বেশি গভীর নলকূপ বসানো হয়েছে। সেই সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগও দেওয়া হয়েছে। এর কারণে কৃষকদের ধান আবাদে সেচে পানির কোনো সংকট হবে না বলে বিএমডিএ এবং বিএডিসি রংপুর সার্কেল অফিস সূত্রে জানা গেছে। চলতি বোরো মৌসুমে রংপুরে ৭১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। এর মধ্যে বরেন্দ্রের আওতায় ৫০ হাজার ৮২৫ হেক্টর এবং বিএডিসির আওতায় সেচের জমি হচ্ছে ২০ হাজার ৬২৫ হেক্টর।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) রংপুর সার্কেল অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ অঞ্চলে গত বছর বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৭৭২টি গভীর নলকূপ চালু ছিল। চলতি মৌসুমে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৯৬টিতে। গভীর নলকূপ বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২৪টি। গত বছর ৪৬ হাজার ৫৭৫ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এলেও এ বছর সেচের আওতায় এসেছে ৫০ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমি। সেচের জমি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর।
রংপুর জেলায় গত বছর চালু গভীর নলকূপের সংখ্যা ছিল ৫৩৪টি, আর এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৬৭৮টি। নীলফামারী জেলায় গত বছর চালু গভীর নলকূপ ছিল ২২৩টি, এ বছর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২৭৬টি। কুড়িগ্রামে জেলায় গত বছর চালু গভীর নলকূপ ছিল ৩৯৬টি, এ বছর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৯১টি। লালামনিরহাট জেলায় গত বছর চালু গভীর নলকূপ ছিল ২৫৬টি, এ বছর বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩০৪টি। গাইবান্ধা জেলায় গত বছর চালু গভীর নলকূপ ছিল ৩৬৩টি, এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৪৭টি। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার মেনানগর গ্রামের কৃষক লতিফ মিয়া ও জাফল আলী জানান, অনেক দিন অপেক্ষার পর বিএমডিএর গভীর নলকূপ তাদের এলাকায় বসানো হয়েছে।
বরেন্দ্রে বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান খান জানান, ইতিমধ্যে রংপুর এবং নীলফামারী জেলায় ৮০টি গভীর নলকূপে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে এবং কৃষকরা এর সুফল ভোগ করছেন। তিনি আরও বলেন, বাকি নলকূপগুলো থেকে ফেব্র“য়ারির মাঝামাঝি সময় কৃষকরা সেচ সুবিধা পাবেন। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি নলকূপের বিপরীতে ২৫ হেক্টর জমি সেচ সুবিধার আওতায় আসবে। এতে কৃষকদের আগে বিঘাপ্রতি যদি ৩ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে তাহলে তা নেমে আসবে মাত্র ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়। বিএডিসি রংপুর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রাশিদুল ইসলাম জানান, গত বছর ৭৫০টি গভীর নলকূপ চালু ছিল। এ বছর তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৮২৫টিতে। তাই কৃষকরা আবাদে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধা পাবেন। সমকাল।।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম