মো. মনিরুজ্জামান ফারুক, ভাঙ্গুড়া (পাবনা) ।।
লতিরাজ চাষে কৃষকদের আগ্রহ : পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ সবজি কচু। যত্রতত্র বেড়ে ওঠায় আমাদের দেশে এর কদর তেমন একটা না থাকলেও এ সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, বি ও সি, লৌহ, ক্যালসিয়ামসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। যা মানব দেহ গঠনে বেশ উপকারি। বর্তমানে বাংলাদেশে নানা জাতের কচুর বাণিজ্যিক আবাদ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুখীকচু , পানিকচু , পঞ্চমুখী কচু , ওলকচু , দুধকচু , মানকচু প্রভৃতি। আর পানি কচুর একটি জাত হলো লতিরাজ। এতে লতির প্রাধান্য থাকার কারণেই হয়তো এটিকে লতিরাজ কচু বলা হয়ে থাকে। পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় লতিরাজ কচুর আবাদে কৃষকদের আগ্রহ লক্ষ্য করা গেছে। দিন দিন এলাকার কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে লতিরাজ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে নানাজাতের কচুর আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে লতিরাজ জাতের কচুর আবাদ হয়েছে ৫ হেক্টর। জানা যায়, বছরের যে কোন সময়ই এ কচুর চারা রোপণ করা যায় । যে জমিতে সহজেই বৃষ্টির পানি ধরে রাখা যায় এবং অতিবৃষ্টিতে পানি বের করে দেয়া যায় এমন জমি লতিরাজ চাষে উপযোগি। অনেক দিনের জলাবদ্ধতা লতিরাজের জন্য ক্ষতিকর। চারা রোপনের ২ মাস পর থেকে ৬ মাস পর্যন্ত সপ্তাহে ১/২ বার লতি সংগ্রহ করা যায়। এছাড়াও এটির মুল কান্ড উৎকৃষ্টমানের কচু হিসেবে খাওয়া যায়। বর্তমানে স্থানীয় হাটবাজারে ৫০/৬০ কেজি দরে লতি বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের স্কুল শিক্ষক আলাউদ্দিন হেলাল, তিনি ২০ শতক জমিতে লতিরাজ কচুর আবাদ করেছেন।
তিনি জানান, পাশের চাটমোহর উপজেলার সফল এক কচু চাষীর কাছ থেকে তিনি উদ্বুদ্ধ হয়ে এবছরই লতিরাজের আবাদ শুরু করেছেন। আর স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা নানা পরামর্শ দিয়ে তাকে সহযোগিতা করছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির চন্দ্র সরকার এ প্রতিনিধিকে জানান, লতিরাজ চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ বছর এন,এ,টি,পি-২ প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় কৃষি বিভাগ বীজ ও সারসহ উপকরণ সরবরাহ করেছেন।
তবে কচু খেয়ে আমার এলার্জি বেড়ে যায় খুব