যাত্রা শুরু করলো মাস্ক সেফটি ফার্স্ট ক্লাব বা এমএসএফসি

মাস্ক সেফটি ফার্স্ট ক্লাব

সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ থেকে :

মাস্কের আদলে তৈরী উদ্বোধনী ফিতা কাটার মধ্যদিয়ে মানিকগঞ্জে যাত্রা শুরু করলো মাস্ক ফাউন্ডেশন পরিচালিত মাস্ক সেফটি ফার্স্ট ক্লাব বা এমএসএফসি। মাস্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কৃষিবিদ মো. হামিদুুল ইসলামের সভাপতিত্বে ফিতা কেটে এমএসএফসি’র শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান মাস্ক সেফটি ফার্স্ট ক্লাব অতিথি  উদীচী মানিকগঞ্জের সভাপতি গাজী ওয়াজেদ আলম লাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাসি (হিউম্যান অ্যাক্টিভিটিস অন সোস্যাল ইনিশিয়েটিভ) এর সভাপতি আশরাফুল আলম লিটন।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিংগাইর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ, এমএসএফসি’র সাধারণ সম্পাদক রনি আহমেদ, মাস্ক ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. আলমগীর হোসেন এবং এমএসএফসি’র সকল সদস্যবৃন্দ।

উদ্বোধন শেষে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ছোটখাটো বিষয়গুলোই একদিন বড় হয়ে দেখা দেয়- আজকের মাস্ক ফাউন্ডেশন হয়তো একদিন পথচারীর স্বাস্থ্যসেবায়, চাষীর স্বাস্থ্যরক্ষায় অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। আমাদের দেশে চাষীর স্বাস্থ্যরক্ষার বিষয় নিয়ে তেমন কোন কাজ হয়নি, যেখানে মাস্ক ফাউন্ডেশন কীটনাশকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে চাষীদের স্বেচ্ছায় সচেতন করে চলছে।’

হাসি’র সভাপতি আশরাফুল আলম লিটন বলেন, এমএসএফসি’র কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে কিন্তু উদ্বোধন হলো আজ- এটা ভেবেও অনেকটা ভাল লাগছে। আমরা সব সময় ভাল কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকবো, সচেতন হবো স্বাস্থ্যের যত্নে। আমি নিজেও মাস্ক পরি-ধূলাবালিতে সবারই মাস্ক পরা উচিত। ধুলাবালির কারণে শুধুমাত্র ঢাকা শহরেই বছরে ১৫ হাজার মানুষ মারা যায়। বিষয়টি আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে। মাস্ক সেফটি ফার্স্ট ক্লাব- এখানে ক্লাবের নামকরণই যেন মাস্কের প্রয়োজনীয়তাকে আরো স্পষ্ট করে তুলে ধরছে।’

এমএসএফসি’র জেনারেল সেক্রেটারি মো. রনি আহমেদ বলেন, মাস্ক সচেতনতা বাড়াতে এবং কীটনাশকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে চাষীদের সুরক্ষার টোটাল সল্যুশন দেওয়ার জন্য আমরা এই ক্লাবে একত্র হই। প্রত্যেক সদস্যকে খাতা কলমে শিক্ষা দেওয়া হয়, মাস্ক বিষয়ক প্রকাশিত নিউজের পত্র-পত্রিকা সরবরাহ করা হয়, টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে চাষীদের মধ্যে ব্যক্তিগত সুরক্ষা বিষয়ে সচেতন করা হয়। সঞ্চয়মূখী করার লক্ষ্যে প্রতিদিন উপস্থিত সদস্যদের মধ্যে লটারি করে প্রাইজবন্ড উপহার দেওয়া হয়।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ অনেক উৎসাহে বলেন, কৃষি আজ অনেকদূর এগিয়েছে। এক সময় এদেশে দুবেলা ভাত জুটতো না, এখন আমরা চাল রপ্তানি করি। আমরা এখন নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করছি। মাস্ক ফাউন্ডেশনের কৃষিতে সুুরক্ষা সচেতনতার কাজে আমি মুগ্ধ। আজ থেকে আমিও যুক্ত হলাম এমএসএফসি’র পথচলায়।

মাস্ক ফাউন্ডেশনের সদস্য ও ডিটিআই, আকিজ গ্রুপের এফটি আলমগীর হোসেন জানান, শুধু মাস্ক পরলেই হবে না- একে মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। কীটনাশকের ছোবল থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য পিপিই (পারসোনাল প্রোটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট) সচেতনতা ও এর সহজ লভ্যতা বাড়াতে হবে।

মাস্ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও এমএসএফসি’র প্রেসিডেন্ট কৃষিবিদ মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, মাস্ককে আমরা চাষী পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করবার জন্য কাজ করছি। যদিও ২০০৮ সালে শুরু হওয়া মাস্ক ফাউন্ডেশন আজ আর শুধুৃমাত্র মাস্ক নিয়ে কাজ করছে না- আমরা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য সেফটির টোটাল সল্যুশন নিয়ে চাষীদের সচেতন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাস্ক ফাউন্ডেশনের এমএসএফসি আর একটি বড় সফলতা যেখানে চাষীরা স্বাস্থ্য সচেতনতা বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাবেন। যারা একাডেমিক স্ট্যাডি করেন তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একটি শক্তিশালী টিম গঠন করাও এমএসএফসি’র আরেকটি বড় উদ্দেশ্য। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি- আমরা সুরক্ষা সচেতনতায় এগিয়ে যাব।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অঙ্গীকার করেন মাস্ক পরে সুরক্ষিত থাকবার। উল্লেখ্য, এমএসএফসি’র পূর্ণরূপ হলো মাস্ক সেফটি ফার্স্ট ক্লাব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *