মো. শাহীন সরদার, বাকৃবি প্রতিনিধি
আম, ইলিশ, জামদানি, নকশী কাঁথা, কাঁসার মত অসংখ্য দেশীয় দ্রব্যাদির ঐতিহ্য আমাদের যুগ যুগ ধরে। এছাড়াও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষি বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন ফসলের জাত, মাছের জাত ও গবাদি পশুর টীকা উদ্ভাবন করে আসছেন। যা বিশ্ব দরবারে আকর্ষণীয় ও বাণিজ্যিকভাবে মূল্যবান।কিন্তু দেশের ভেতর মেধাস্বত্ত্ব না থাকায় বা মেধাস্বত্ত্ব প্রতিষ্ঠান না থাকায় উদ্ভাবনকারীরা সেই পণ্যের মেধাস্বত্ত্ব দাবি করতে পারছেন না।
এদিকে বিদেশিরা আমাদের দেশীয় ওই সব পণ্যগুলো নিজেদের নামে মেধাস্বত্ত্ব (প্যাটেন্ট) করে ব্যবসা করছে। এতে আমাদের দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতে অর্থনৈতিকভাবে আমরা লাভবান হতে পাচ্ছি না। তাই বাংলাদেশে অতিদ্রুত মেধাস্বত্ত্ব বাস্তবায়ন করা উচিত। মঙ্গলবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) সকাল ১০ টার দিকে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে মেধাস্বত্ত্ব অধিকার বিষয়ক প্রকল্পের সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলী আকবর এ কথা বলেন।
প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসানের সঞ্চালনায় ও প্রকল্পের থিংক ট্যাঙ্ক অধ্যাপক ড. মো. জসিমউদ্দিন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে অধ্যাপক ড. সুভাষচন্দ্র চক্রবর্তী, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সামাদ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান ও শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন অধ্যাপক ড.ইমদাদুল হক চৌধুরী।