নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, ওয়াশিংটন ডিসি ও মেরিল্যান্ড ও পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্যের বাংলাদেশি-আমেরিকান কৃষিবিদরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে জমায়েত হন এ মিলনমেলায়। দীর্ঘদিন কৃষিবিদদের সংগঠন বিমুখতা, অনৈক্য ও বিভেদের অবসান ঘটানোর লক্ষ্য নিয়েই নতুন এ কমিটির যাত্রা শুরু। অনুষ্ঠানটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য ছিল অতিথি শিল্পীকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লড়াই। নাচে গানে গরম হয়ে ওঠে জ্যামাইকার বসন্তের হালকা শীতের বাতাস। বহুদিন পর দেখা মেলে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলে আসা বন্ধু বান্ধবীদের। ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা, শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে সকলে হাজির ছিলেন এ অনুষ্ঠানে।
সন্ধ্যা ৬টায় শুরু এ অনুষ্ঠানটি আড্ডা হাসি গানে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। স্বাধীনতার মাসে দেশাত্মবোধক গান সূর্যোদয়ে তুমি, সূর্যাস্তে তুমি গান দিয়ে সাংস্কৃতিক পর্বের শুরু হয়। শেষ হয় গ্রাম বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ফ্যাশন শো দিয়ে।
বাংলাদেশের প্রবাসী শিল্পী শাহ মাহাবুব ছাড়াও কৃষিবিদদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। সভায় উল্লেখযোগ্য কৃষিবিদদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আবুল কালাম আজাদ, আশরাফুজ্জামান, আব্দুস সবুর, ড. গোলাম সানদানী তরফদার, সৈয়দ মিজানুর রহমান, মনোয়ারুল ইসলাম, মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ আনোয়ার সাদত, মো. মনজুরুল হক, মো. আনিসুল হক, আবদুল্লাহ জাহিদ, আবু আর করিম, দেলোয়ার হোসেন মিয়া, হুমায়ূন কবির, বশির আহমেদ ও তানভীর সিদ্দিকী প্রমুখ। এ ছাড়া নিউইয়র্কের বিভিন্ন মিডিয়া ব্যক্তিত্বরাও এতে উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনটি পুরোপুরি অরাজনৈতিক বলে জানালেন নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান।
কার্যকরী কমিটির নির্বাচিত সদস্যরা হলেন সভাপতি ড. মনজুরুল হক, সহসভাপতি আসাদুজ্জামান কিরন, সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইউসুফ, কোষাধ্যক্ষ ফাহমিদা আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক এ বি এম পাঠান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা, প্রকাশনা ও ক্রীড়া সম্পাদক আনিসুল হক, প্রচার সম্পাদক হুমায়ূন কবির, সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন মিয়া, গণসংযোগ সম্পাদক মো. তারেক আরাফাত, কার্যকরী সদস্য সিরাজুল ইসলাম, হান্নান মজুমদার, রাজিবুল হাসান, খাইরুন নাহার, শফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, মল্লিকা রায় ও নাজনীন খান। নতুন এই কার্যকরী কমিটি ১২ মার্চ শনিবার জ্যামাইকার তাজমহল রেস্টুরেন্টে গঠিত হয়। প্রথম আলো।।