এস.এম. সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট :
মন্দিরের ভাস্কর্য শিল্পীরা ঃ বাগেরহাট জেলায় এবার ৬০৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাগেরহাটের মন্ডপে মন্ডপে চলছে নতুন প্রতিমা তৈরির কাজ। ভাস্কর্য শিল্পীরা রাতদিন ব্যস্ত আছেন প্রতিমা তৈরির কাজে।
জেলার অধিকাংশ মন্ডপে মাটির কাজ শেষ ভাস্কররা প্রতিমায় রঙ এর কাজ করছেন। বাগেরহাট সদরের কাড়াপাড়া ইউনিয়নের কাড়াপাড়া গ্রামের রামকৃষ্ণ সেবাশ্রমের সার্বজনীন পূজা মন্দির, চুলকাঠি বাজারের বণিকপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, পোলঘাট সার্বজনীন পূজা মন্দির, চিতলমারী উপজেলার খড়মখালী সার্বজনিন দুর্গা মন্দির এবং ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা মোমতলা সার্বজনীন পূজা ম-গুলোতে বেশি সংখ্যক প্রতিমা তৈরির প্রতিযোগিতা চলছে। এছাড়া বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রামের সিকদার বাড়িতে জেলার সবচেয়ে বড় দুর্গা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজক ব্যবসায়ী লিটন সিকদার তার বাড়িতে বড় দুর্গাপূজাটি ব্যক্তি উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় দাবি করে বলেন, এবারও তাদের সিকদারবাড়ীতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ ও মহাভারতের চারযুগের দেবদেবীর নানা কাহিনী অবলম্বনে ৭০১টি প্রতিমা তৈরি করা হয়েছে। গত পাঁচ মাস ধরে ১৫ জন কারিগর তাদের নিপুণ হাতে প্রতিমা তৈরির কাজ করে চলেছেন। শেষ সময়ে রঙ-তুলির কাজ পুরোদমে চলছে। বাগেরহাটে গত কয়েক বছর ধরে দুর্গা উৎসব মানেই সিকদারবাড়ীর দুর্গাপূজা। আর এখানে অতিথি আপ্যায়নে ধনী-দরিদ্রের মধ্যে চরম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয় বলে প্রচার রয়েছে।বাগেরহাট জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, গতবারের তুলনায় এবার পূজা মন্ডপগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। যাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রীক কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য মন্ডপের আয়োজকদের সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে। ধর্ম যার যার উৎসব সবার।ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে কোন প্রকার ব্যাঘাত না ঘটে সেদিকে সকলকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
আগামী ৯ অক্টোবর মহালয়ার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দূর্গোৎসবের শুভ সূচনা হবে। দেবীদূর্গা এবছর ঘোড়ায় চড়ে আসবেন আর যাবেন দোলায় । ১৫ অক্টোবর থেকে ১৯ অক্টোবর দূর্গাপূজা চলবে।