Site icon

লাভজনক উপায়ে মাছ চাষের কতিপয় জরুরি বিষয় ও করণীয়

মোঃমোস্তাফিজুরলাভজনক মাছ চাষ রহমান রুবেল :

মাছে ভাতে বাঙ্গালী বলে একসময় বাংলাদেশের পরিচিতি ছিল । মাঠে ঘাটে প্রচুর মাছ পাওয়া যেত ।এখন আর সেই অবস্থা নেই । সময়ের প্রবাহের হাত ধরে এবং বিভিন্ন পারিপার্শিক অবস্থার র কারণে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে । কৃষি জমিতে আগে অল্প পানি জমা থাকলেই মাছ পাওয়া যেত । কিন্তু বর্তমানে জমিতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও আগাছানাশক ব্যবহার করার ফলে তা হারিয়ে গেছে । এখন অল্প পানি কেন জমি ভর্তি পানিই থাকলেও মাছ পাওয়া সম্বব নয় ।আগে একটূ পানি জমে থাকা জায়গায় মাছ ধরনে গেলে প্রায় বালতি ভর্তি মাছ পাওয়া যেত ।
বাংলাদেশের জাতীয় আমিশের চাহিদা অনেকাংশে মাছ থেকে পুরণ হয় । আর যেহেতু আগের মত মাছের প্রকৃতিক মাছ উতপাদন না হওয়ায় মাছের ঘাটতি মেটাতে প্রয়োজন ব্যবসা নির্ভর লাভজনক মাছ চাষ । এই পথে যাত্রা করতে গেলে যে বিষয়গুলো আপনার জন্য সহ সহায়ক হবে তা হলোঃ
১। লক্ষ্য স্থির করণঃ
প্রতিটি কাজের প্রথমে যে বিষয়টা সবচেয়ে গুরুত্তপুর্ন তা হলো লক্ষ্য স্থির করন।মানুষ যা ভাবে যা মন থেকে চায় তা সে বাস্তবে রুপান্তর করতে পারে ।আপনি যদি আপনার লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ শুরু করেন তাহলে অবশ্যই সফলতা আপনার হাতে এসে ধরা দিবে । মানুষ এক মহান সৃষ্টি যার অনেক গুলো গুণাবলীর মধ্যে অন্যতম হল চিন্তাশোক্তি । আর এই চিন্তা শক্তিকে বাস্তবে রুপান্ত্রিত করার অনেক যোগ্যতা মানুষের মধ্যে লুকায়িত থাকে । তাই সেই চিন্তা উপযুক্ত পরিবেশ ও কর্মপদ্ধতি অনুষায়ী কাজ করলে তা সহজেই বাস্তবে রূপ নেয় । সত্যি আপনি যদি লক্ষ্য স্থির রেখে কাজ শুরু কারেন সেক্ষেত্রে যতই বাধা আপনার সামনে আসুক না কেন আপনি সফল হবেনই । লক্ষ্য আপনার স্থির আর পাহাড় সম সাহস আপনার বুক, এখন আপনার বিজয়ের পালা । সহজেই বিজয়ের মালা আপনার গলায় উঠে আসবে । তাই আপনার সফলতার জন্য আমাদের এই বিশেষ আয়োজন । যা আপনার বিজয়ের পথকে করবে সহজ।

পুকুর নির্বাচনঃ
লাভজনক মাছ চাষ করার ক্ষেত্রে পুকুর নির্বাচন অতি গুরুত্তপুর্ন । আপনি সঠিক স্থানে ভাল মানের পুকুর নির্বাচন করতে পারলে খুব সহজেই বড় বড় মাছ পেতে থাকবেন । আর এই জন্য একটি ভাল পুকুরের যে বৈশিষ্ট্য গুলো থাকতে হবে । তা হলোঃ
১। খোলা পরিবেশে পুকুর হতে হবে । যেখানে থাকবে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যাবস্থা । আর রোদ যুক্ত পুকুরে খুব সহজেই ফাইটোপ্লাংটন তৈরি হয় যা মাছ বড় হতে সহায়তা করে ।
২। পুকুর পাড় হতে হবে উচু । যেন সহজেই বর্ষাকালে পানি বেরিয়ে যেতে না পারে ।
৩। পুকুরের পাড়ে যেন বেশী পাতা ওয়ালা বড় গাছ না থাকে । বড় গাছ থাকলে তা ছায়া দিয়ে মাছের খাবার তৈরিতে বাধা দিবে । আর গাছের পাতা পানিতে পড়লে পানি পচে পানিতে বিষক্রিয়ায় মাছ মারা যেতে পারে । অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় ।
৪। পুকুরের গভীরতা মাছের জাতের উপর নির্ভর করে । আর বেশী গভীর প্রয়োজন হলেও মধ্যখানে গভীর আর বাকি সাইড গুলো অগভীর হওয়া ভাল ।
পুকুরের আকারের উপর পুকুরকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
১। ছোট পুকুর
২। বড় পুকুর
উভয় পুকুরেরই কিছু সুবিধা আছে তা নিচে তুলে দেয়া হলোঃ
ছোট পুকুরের সুবিধাঃ
• সহজ ও দ্রুত মাছ ধরার নিশ্চয়তা
• পানি নিষ্কাশন ও পুনঃভরনের ক্ষেত্রে তড়িৎ সফলতা ।
• রোগজীবানু আক্রান্ত মাছের দ্রুত চিকিৎসার নিশ্চয়তা
• আকস্মাত বা দৈবাহ মড়োকে তুলনা মুলক কম ক্ষতির সম্বাবনা
• বৃষ্টি বা বন্যায় ক্ষতির সম্বাবনা কম বা প্রতিরোধ মুলক ব্যবস্থা গ্রহন ও সহজ ব্যবস্থাপনার নিশ্চয়তা ।
• বড় পুকুরের সুবিধাসমুহঃ
• খনন ব্যয় তুলনামুলক কম।
• ভূমি ব্যবহার সাশ্রয় হয় ও বেশী পরিমান পানি পাওয়া যায় ।
• বায়ু প্রবাহ অধিক কাজ করতে পারে , এতে অক্সিজেনের অভাব ঘটেনা ।
পুকুরের গভীরতা কি জাতের মাছচাষ করা হবে ও চাষের জন্য কোন পদ্ধতি অনুস্রুত হবে তার উপর নির্ভরশীল । পুকুরের গভীরতা আংশিকভাবে ভূপ্রকৃতি বা মাটির গঠন , মাটির পানি ধারন ক্ষমতা ইত্যাদির উপরও নির্ভর করে ।
আদর্শ পুকুরে মাটির বৈশিষ্ট্যঃ
মাটিতে যেসব গুণাবলী থাকলে আদর্শ পুকুরের পরিবেশ গঠনে সহায়ক হয় , সেগুলো হলো;
১। মাটির গঠন- কাদাযুক্ত দোআঁশ , পলিযুক্ত কাঁদা
২। পিএইচ – ৬.৫- ৭ .৫
৩। জৈব কার্বন- ১.৫- ২.৫ (%)
৪। জৈব পদার্থ – ২.৫- ৪.০(%)
৫। নাইট্রজেন(মিঃ গ্রাম/১০০)- ৫০-৭৫
৬। ফসফরাস- (মিঃ গ্রাম/১০০)- ১০-১২
৭। পটাশিয়াম (মিঃ গ্রাম/১০০)- ৩-৪
৮। ক্যালসিয়াম (মিঃ গ্রাম/১০০)- ৪০-৫০
পুকুর ব্যবস্থাপনাঃ পুকুর নির্বাচনের পরে পুকুর ব্যবস্থাপনা খুবই প্রয়োজন । আর পুকুর ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় গুরুত্ত পুর্নঃ যেমন,
১। পাড় ও আগাছা পরিস্কারঃ পুকুরে পোনা মজুদ করার পুর্বে পুকুরের পাড় ভালোভাবে পরিস্কার করতে হবে । পাড়ে যেন এমন কিছু না থাকে যা পরবর্তীতে পুকুরে পড়ে পুকুরের মাছ চাষের পরিবেশ যাতে নস্ট না হয় । সেই দিকটা বিশেষ ভাবে খেয়াল রাখতে হবে । পোনা মজুদ করার আগেই পাড় ভালো ভাবে পরিস্কার করতে হবে । পুকুরের পানিতে কোন আগাছা থাকলেও তা পোনা ছাড়ার আগেই তুলে পরিস্কার করতে হবে । আর না হলে এই অতিরিক্ত আগাছা পুকুরে সরবরাহ কৃত খাবারে ভাগ বসাবে ।
২। রাক্ষুসে মাছ দূর করাঃ পুকুরে আগাছা দমন করার পরে সবচেয়ে বড় কাজ হলো রাক্ষুসে মাছ দূর করা । রাক্ষুসে মাছগুলো আপনার পছন্দের মাছ গুলোকে খেয়ে ফেলে । আর তাই রাক্ষুসে মাছ অবশ্যই দমন করতে হবে । সেক্ষেত্রে বিভিন্ন উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে । যেমন পানি শুকানো , অথবা বীষ প্রয়োগ করে । যে পদ্ধতি আপনার পছন্দের এবং আপনার পুকুরে ভাল হয় তা করে রাক্ষুসে মাছ দমন করতে হবে । আর পুকুরে বীষ প্রয়োগ করলে ব্যবহৃত বীষের কার্যকারিতার উপর পানিতে পোনা মুজুদ হতে বিরত খাকতে হবে । তা না হলে বীষ ক্রিয়াই পোনা মারা যেতে পারে ।
৩। চুন প্রয়োগঃ মাছচাষের জন্য একটা বহুল পরিচিত প্রবাদ বাক্য আছে । তা হলো ‘ তরকারিতে নুন যেমন মাছচাষে চুন তেমন ’। মাটির অম্ল ও ক্ষারত্তের উপর অনেকটা নির্ভর করে মাছ চাষের লাভ ক্ষতি । আর তাই মাটির অম্লত্ত কমাতে ও ক্ষা্রত্ব বাড়াতে ব্যবহার করা হয় চুন । পানি পরিস্কারক হিসেবেও চুনের খুব কদর রয়েছে ।পানিতে ক্যালসিয়াম এর মাত্রা নির্ধারনেও চুনের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় ।
মাছ চাষে চুন প্রয়োগের গুরুত্তঃ
• চুন প্রয়োগের ফলে পানিতে অদ্রবনীয় ধাতুসমুহ যেমন এলুমিনিয়াম ,ম্যাগনেশিয়াম ,লোহা প্রভৃতির ক্ষতিকারক কার্যকর হ্রাস পায়।
• চুন পুকুরে তলদেশে জৈব পদার্থ বিয়োজনের সহায়তা করে , এতে পুকুরের মাটিতে অতিদ্রুত হিউমাস গড়ে উঠে।
• ঘোলাত্ত দূর কর যা সরাসরি সুর্যালোকের ফলে প্রাকৃতিক খাদ্য তৈরিতে সহায়ক ।
চুন প্রয়োগের মাত্রা ও নিয়মঃ
পাড় মেরামতের পর প্রতি শতকে ১-১,৫ কেজি হারে চুন পানির সাথে মিছিয়ে ছিটিয়ে দিতে হবে । আর এই সময় একটা বিষয় লক্ষ রাখতে হবে চুন প্লাস্টিক পাত্রে না রেখে মাটির চাড়ি বা ড্রামে অথবা অন্য কোন পাত্রে রেখে তার উপর পানি ঢালে মিশাতে হবে । না হলে অসতর্কতা বসত চুনের বিক্রিয়ার ফুটন্ত পানি চোখে মুখে পড়ে সমস্যা হতে পারে ।
সাধারনত হালকা রোদ যুক্ত আবহাওয়ায় চুন প্রয়োগ করা উত্তম হবে ।
চুন অবশ্যই শিশুদের নাগালের বাইরে থাকতে হবে ।
৪। পুকুরে পানি ভরাট করাঃ পুকুরে চুন প্রয়োগের পরে পানির ঘাটতি থাকতে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে হবে ।
৪। সার প্রয়োগঃ পুকুরে মাছের খাবার তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরণের সার প্রয়োগ করা হয় ।পুকুর যদি শুকনো হয় তাহলে প্রয়োজনীয় মাত্রায় জৈব সার সমান ভাবে ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে ।আর পানি ভরাট পুকুরে অজৈব সার পানিতে গুলে পুকুরে ছিটিয়ে দিতে হবে। পুকুর প্রস্তুতকালীন সারের নমুনা মাত্রা নিম্নে দেওয়া হলো;
সার শতাংশ প্রতি সারের মাত্রা
গোবর অথবা ৫-৭ কেজি
কম্পোস্ট অথবা ৮-১০ কেজি
হাঁসমুরগির বিষ্ঠা ৩-৫ কেজি
ইউরিয়া সার ১০০-১৫০ গ্রাম
টিএসপি ৫০-৭৫ গ্রাম ।
মাছের পোনা মজুদের সময় বা ছাড়ার সময় করনীয়ঃ
• চিংড়ি ও কার্পের মিশ্র চাষে পোনা মজুদের ঠিক একদিন আগে,পুকুরের তলদেশে মাটির উপর কয়েক টুকরা ফাঁপা বাঁশ বা প্লাস্টিকের পাইপ রেখে দিতে হবে । কারণ চিংড়ি খোলস পরিবর্তনের সময় দুর্বল হয়ে পড়ে এবং তখন চিংড়ি সেখানে আশ্রয় নেয় ।
• জুন,জুলাই উপযুক্ত সময় কার্প জাতীয় মাছ বা গলদা চিংড়ি মজুদের ।
• ভাল উৎপাদন পাওয়ার জন্য মজুদ ঘনত্ব অতি গুরুত্ত পুর্ন।
৫। পোনা নির্বাচনঃ মাছ চাষে লাভ করা না করা অনেকটা পোনা নির্বচনের উপর নির্ভর করে । পোনার কিছু আদর্শ বৈশিষ্ট আছে যেগুলে মাছের দ্রুত বর্ধন নিশ্চিত করে । পোনা হতে হবে রোগমুক্ত ও সতেজ এবং নিদির্ষ্ট সাইজের ।
পুকুরে সম্পুরক খাবার দেয়ার গুরুত্ব
 পুকুরে অধিকাংশ খাবারই প্রাকৃতিক ভাবে উৎপন্ন হয় । কিন্তু দ্রুত সময়ে মাছ চাষে লাভবান হওয়ার জন্য আলাদা করে সম্পরোক খাবার সরবরাহ করা হয় ।
 অধিক ঘনত্তে পোনা ও বড় মাছ চাষ করা যায় ।
 কম সময়ে বড় আকারের সুস্থ্ ও সবল পোনা তৈরি করা যায় ।
 কৃত্রিম খাদ্যে পুষ্টি বিরোধী উপাদান থাকে না ।
 খাদ্য রুপান্তর হার অনেক বেশি হয় ।
 পোনা বাচার হার বেড়ে যায় ।
মাছের খাবার সরবাহ করার করার ব্যাপারে বিবেচ্য বিষয়গুলোঃ
• খাবার দিনে একবার না দিয়ে দুবারে দেয়া ভাল ।
• রোদের সময় ( কেবল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা ) খাবার দেয়া আবশ্যক।
• পুকুরের গভীরতা এক মিটারের বেশি হলে ফিড ট্রে ব্যবহার করা উচিত ।
• সারা পুকুরে খাবার না দিয়ে কয়েকটি নির্দিষ্ট স্থানে খাবার দেয়া উত্তম ।
• নির্ধারিত সময়ে খাবার দিলে সে সময় মাছ নির্দিষ্ট স্থানে চলে আসে এবং সব মাছ খাদ্য পেতে পারে ।
• হাতে বানানো খাবার প্রয়োগ করলে একই জায়গায় বেশী খাবার দেয়া উচিত ন্য ( খাবার প্রয়োগের স্থানে বাঁশ পুতে সংকেত করা অবশ্যক)
• পিলেট খাবার ব্যবহার করা উত্তম।
• মাছ নিয়মিত খাদ্য খাচ্ছে কিনা তা পর্যাবেক্ষন করা অবশ্যক ।
যে সময় মাছ বেশী খায়ঃ
মাছ সারা বছরই একই হারে খাবার খায়না । শীতে মাছ খুবই কম খায় । তবে জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্নিণ মাস পর্যন্ত পানির তাপমাত্রা বেশী থাকে । আর এই সময়টাতেই মাছ বেশী খাবার গ্রহন করে এবং মাছের দ্রুত বৃদ্ধি হয় । সারা বছরের প্রয়োজনীয় খাবারের ৭০-৮০% এ সময়টাতে খেয়ে থাকে । এ সময় মৎস্য চাষীকে খাবার সরবরাহের ব্যাপারে যত্নবান হতে হবে ।
মাছের রোগাক্রান্ত হওয়ার কারনঃ
• পুকুরে বা খামারে পানির ভৌত-রাসায়নিক অবস্থা পরিবর্তন হলে ।
• জৈবিক পীড়ন বা কোন কারণে মাছ আঘাতপ্রাপ্ত হলে ।
• রোগ জীবানুর সঙ্ক্রমন হলে।
• পরজীবির আক্রমন হলে ।
• পুকুরের তলদেশে পরিবেশ নষ্ঠ হলে ।
• পানিতে পুষ্টির ঘাততি দেখা দিলে ।
• অতিরিক্ত সার বা খাদ্য প্রয়োগ করলে ।
মাছের রোগ প্রতিরোধে চাষিদের করনীয়ঃ
 রোগমুক্ত সুস্থ্ পোনা ছাড়তে হবে ।
 পোনার ঘনত্ত যেন বেশী না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।
 পুকুরে পানির গুনাগুনের আদর্শ মাত্রা রাখতে হবে ।
 পুকুরের তলদেশে জৈব পদার্থের আধিক্য যেন না ঘটে সে দিনে অবশ্যই লক্ষ্য রাখতে হবে , পানি যেন বিষাক্ত না হয়ে তা নিশ্চিত করতে হবে ।
 আক্রান্ত মাছের ক্ষতির পরিমান কমানোর জন্য অভিজ্ঞ মৎস কর্মকর্তার পরামর্শ মতে চিকিৎসা নিতে হবে ।
মাছ চাষ করে নিজে লাভবান হওয়ার সাথে সাথে দেশের উনয়নে অংশ নেয়ার সুযোগ রয়েছে । তাই আসুন আমরা নিজে মাছ চাষ করে সফল হও এবং দেশের আমিষের চাহিদা পুরনে অগ্রণী ভুমিকা পালন করি ।

Exit mobile version