আব্দুল মান্নান,হাবিপ্রবিঃ
লেবু চাষে সফলতা : লেখাপড়া শেষ করে সবারই একটা স্বপ্ন থাকে ভাল চাকরী করার ।কিন্তু স্বপ্ন দেখলেই তো আর বাস্তব হবে না।আজকের যুগে সরকারী চাকরী হলো সোনার হরিণের মতো।কারন দেশের প্রতিটি লোকই আজ এর পিছনে ছুটছে ।ফলে কঠিন এক প্রতিযোগিতার যুদ্ধে জিতলে ,তারপর মিলবে সেই সোনার হরিণের দেখা ।তার উপর আছে বিভিন্ন মহলের তদবির ।তাই এতো এতো প্রতিযোগিতার মধ্যে সবাই টিকে থাকতে পারেনা । আর একটা সরকারী চাকরীর জন্য বছরের পর বছর সময় ব্যয় করে ,পায়ের জুতো ক্ষয় করতে হয় ।জীবনের অতি মূল্যবান সময়কে নষ্ট করতে এর পিছনে । তবে এসবের ব্যতিক্রম নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের মোজাম্মেল হকের ছেলে সেলিম । সেলিম ,হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(হাবিপ্রবি) উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের মাস্টার্স থিসিস সেমিস্টারের ছাত্র ।সে লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে একজন সফল লেবু চাষী হিসেবে গড়ে তুলেছেন
শনিবার তার লেবুর বাগান দেখতে যান হাবিপ্রবির কৃষি বনায়ন ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. শোয়াইবুর রহমান।তিনি সেলিমের বাগান ঘুরে দেখে বলেন ,তার এই বাগানটি অনেকটা বৈজ্ঞানিকভাবে গড়ে উঠেছে।দুই জাতের লেবুর গাছের সাথে পেঁপে গাছ,কমলার গাছ এবং চাল কুমড়ারও গাছ রয়েছে ।যা জমির উৎপাদনশীলতাকে বহুগুণ বেড়ে দিয়েছে ।পাশ্ববর্তী মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছে ।এভাবে তরুণরা এগিয়ে আসলে দেশে আর অভাব থাকবে না ,দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাবে দেশ ও জাতি ।
সেলিমের কাছে লেবু বাগানের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা হয়।সেলিম জানান,৫ বিঘার এই জমি থেকে বছরে গড়ে প্রায় আড়াই(২.৫) লাখ টাকার মতো আসে ।খরচ বলতে মাঝে মধ্যে সার ও সেচ দেই একটু তা বাদে প্রাকৃতিক ভাবেই হচ্ছে । লেবু ছেড়ার সময় কিছু লেবারের দরকার হয়, এছাড়া তেমন কিছু নেই । তাছাড়া আলহামদু লিল্লাহ অনেক ভালো আছে ।কিন্তু দুঃখ আমাদের কাছ থেকে পাইকারেরা ১-১.৫টাকা করে একটি লেবু কিনে, কিন্তু বাজারে কিনতে গেলে একটি লেবু ৪-৫টাকা নেয় ।আমাদের নীলফামারীতে এই লেবুর যেমন চাহিদা, যদি মার্কেটিং ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য সরকারি ভাবে কোন পদক্ষেপ নিতো বা সংরক্ষণের কোন ব্যবস্থা থাকতো তবে অনেক ভাল হতো । একইভাবে থাইকুল এর বাগান করে লাভবান হয়েছে একই ইউনিয়নের মোকছেদুল আলম নামের এক কৃষক
ফসল শারীরত্ত্ব ও কৃষি বনায়নের শামীম রেজা ওআব্দুল মান্নান নামের দুই শিক্ষার্থী বলেন,সেলিম ভাই যেকাজ গুলো করেছেন তা প্রশংসনীয় ।একই সাথে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার হচ্ছে ,পার্শবর্তী মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে,পরিবেশের জীব বৈচিত্র সুরক্ষিত থাকছে ।সরকার যদি এসব কাজে এগিয়ে আসে তাহলে এই তরুন শিক্ষিত সমাজ উৎসাহ পাবে এবং কাজের আগ্রহ বাড়বে ।সাথে সাথে যুব সমাজের দ্বারা যেসব অপকর্ম হচ্ছে তা থেকে দেশ ও জাতি মুক্তি পাবে আশা করি ।