মোঃ জাহাঙ্গীর আলম শাহঃ
বছরের কোন সময় ফসলের কী ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। কখন বৃষ্টি হতে পারে, খরা হতে পারে, ফসলের জন্য কী প্রস্তুতি নিতে হবে। ঋতুভিত্তিক ফসলের পরিচর্যার প্রস্তুতির জন্য একটি পঞ্জিকার প্রস্তত করা হয়েছে। পুস্তিকা আকারে এটি প্রাকাশিত হয়েছে। গত শুক্রবার নওগাঁর মান্দা উপজেলার শাহ কৃষিতথ্য পাঠাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
পঞ্জিকাটি রচনা করেছেন শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগারেরর প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর শাহ। পঞ্জিকাটির মোড়ক উন্মোচন করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস এর পরিচালক উদ্ভিদবিজ্ঞনী অধ্যাপক এম. মনজুর হোসেন। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নাছিমা চৌধুরী অনুষ্ঠানের দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সফল কৃষকেরা অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এদেরদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন ধানের নতুন জাত উদ্ভাবনকারী স্বশিক্ষিত কৃষিবিজ্ঞানী রাজশাহীর তানোর নূর মোহাম্মদ, গাছ লাগিয়ে জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত নওগাঁর শামসুদ্দিন মন্ডল, বিষমুক্ত ফসল উৎপাদন করে বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক প্রাপ্ত মনির হোসেন, বৃক্ষরোপণে দুইবার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত ও বণ্যপ্রাণি সংরক্ষেণে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত রাজশাহীর পুঠিয়ার শিলমাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, কুষ্টিয়ার গাড়োল চাষি শিশির আলম, মান্দা উপজেলার সফল মৎস্য চাষী শারফিন শাহ, সুগন্ধী ধান চাষি চাঁপাইনবাবগঞ্জের আবুল কালাম , সফল আলু চাষি তানোরের অজিৎ গুহ , পাখি সংরক্ষণকারী মুনসুর সরকার প্রমুখ।
কৃষি পঞ্জিকাটি উদ্ভাবন একটি সৃজনশীল উদ্যোগ। এটির কোনো শুভেচ্ছা মুল্য রাখা হয়নি। এটি শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগারের পক্ষ থেকে কৃষকদের মধ্যে মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। জাহাঙ্গীর শাহ বলেন, মানুষের জন্য যা প্রয়োজন তাই করতে গিয়ে তিনি এই কাজটি করেছেন। সংক্ষিপ্ত আকারে তিনি শাহ কৃষি তথ্য পাঠাগারের দেওয়ালে পঞ্জিকাটি টাঙিয়ে দিয়েছেন। তাতে স্থানীয় কৃষকদের ব্যাপক উপকার হচ্ছে দেখে তিনি পুস্তিকা আকারে পঞ্জিকাটি প্রকাশের উদ্যোগ নেন। এতে দূরের কৃষকেরাও এই পঞ্জিকাটি ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
এম মনজুর হোসেন বলেন, এই পঞ্জিকাটির ভেতরে খনার বচন থেকে শুরু করে আধুনিক চাষবাসের অনেক সূত্র রয়েছে। কৃষকদের হ্যান্ডবুক হিসেবে এটি খুব কাজে দিবে। কোন ঋতুতে কোন ফসল চাষের আদর্শ দিন-ক্ষণ, পরিচর্যার প্রস্তুতি, ইত্যাদি বিষয়ে কৃষকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ এতে রয়েছে। এছাড়াও এই পঞ্জিকা ব্যবহার করলে কৃষক প্রকৃতি ও পরিবেশের ব্যাপারে সচেতন থাকতে পারবেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম