ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ফসলহানী

শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ফসলহানী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

দেশের বিভিন্ন জেলায় শিলা বৃষ্টির আঘাত ও কালবৈশাখী ঝড়ে ৭জনের মৃত্য হয়েছে বলে জানা গেছে।  এতে আহত হয়েছেন আরো বেশ কয়েকজন।  এছাড়া শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ো হাওয়ায় ঘর-বাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় থেমে থেমে শিলা বৃষ্টি ও কালবৈশাখী ঝড় হয়েছে।  তবে রাজধানীর ঝড় ততোটা তীব্র ছিলো না।

মাগুরা বিকেলের দিকে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়।  একই সঙ্গে শিলা বৃষ্টির শুরু হলে আকরাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হয়ে পড়েন।  তিনি মাঠে কাজ করছিলেন। এলাকাবাসী মাঠ থেকে তাকে উদ্ধারের পর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।  তার বাড়ি সদর উপজেলার ডহরসিংড়া গ্রামে।

উত্তরের জেলাগুলোতে ঝড়-শিলাবৃষ্টিতে আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হওয়া ছাড়াও কোনো কোনো এলাকায় শিলার আঘাতে ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে গেছে, নষ্ট হয়েছে ফসলের ক্ষেত, ঝড়ে ভেঙে গেছে ঘরবাড়ি-গাছপালা। কেউ কেউ বলছেন, ঝড়ে এত বড় শিলা পড়তে এর আগে দেখেননি তারা। বেশি ক্ষয় ক্ষতির মধ্যে রয়েছে নীলফামারী, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুর, রংপুর ও শেরপুর।

লালমনিরহাটে শিলাবৃষ্টির কারণে টিনের চাল ফুটো হয়ে মোমেনা বেগম (৫০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। ভারি শিলা বৃষ্টিতে জেলার দুই উপজেলা হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে অসংখ্য টিনের চালা ঘর ফুটো হয়ে গেছে।  এর ফলে ভুট্টা, মরিচ, পেঁয়াজ, বোরো ধানের ক্ষেতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।  তাছাড়া আম লিচুর মুকুল ঝরে গেছে ব্যাপক আকারে। তবে কি পরিমান ফসলের ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা এখনি নিরুপন করা সম্ভব হয় নি। শিলার আঘাতে আহত হয়েছেন, উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের বুড়াসারডুবী গ্রামের রবিউল ইসলাম (৩৫), আতোয়ার রহমান (৫০), জড়িবুল (২৮), শিশু স্বাধীন (২) ও ঝরনা বেগম (৪০)।  আহতরা অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।

পাটগ্রাম উপজেলার, ইসলামপুর, জোংড়া, বাউরা, জমগ্রাম ও ছিটজগ্রাম।  কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর, চলবলা, চাকলা ও চাপারহাট।  আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ও সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের ওপরেও শিলা বৃষ্টি আঘাত হানে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *