সরকার ইতিমধ্যে ৬ ধরনের পণ্যে পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করেছে। নতুন করে আরো ১১ ধরনের পণ্যে পরিবেশবান্ধব পাটের মোড়ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএসএ) বার্ষিক সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, মাছের খাদ্য, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ছোলা, হলুদ, ময়দা এ তালিকায় থাকবে। এছাড়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, পাট ও পাটজাত পণ্যের কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে শিগগিরই সরকারি আদেশ (এসআরও) হতে যাচ্ছে। ওই আদেশ (এসআরও) হলে এ খাতের ব্যবসায়ীরা কৃষিভিত্তিক অন্যান্য খাতের শিল্পোদ্যোক্তাদের ন্যায় সুবিধা পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত ফাইল মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ খাতের উদ্যোক্তারা এ সুবিধা পাবেন বলে আশা করছি।’
এ সময় প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশে পাটের বীজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার আশঙ্কার কথা জানান। তারা বলেন, দেশের পাট উৎপাদন ভারতের বীজ নির্ভর। ৮০ শতাংশ বীজ সেখান থেকে আসে। ইতিমধ্যে ভারতের বীজের দাম দ্বিগুণ হয়েছে।
অবশ্য উদ্যোক্তাদের এমন আশঙ্কা উড়িয়ে না দিলেও প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে পাটের বীজের বিস্তর মজুদ রয়েছে। ভারত পাটের বীজ রপ্তানি বন্ধ করবে বলে মনে করি না।
সভায় বিজেএসএ’র চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন এ খাতের উদ্যোগের নানামুখী সংকট তুলে ধরে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে দাবি জানান। সেই সঙ্গে সব খাতে বাধ্যতামূলক পাটের মোড়ক ব্যবহার কার্যকর করারও দাবি জানান তিনি। এ সময় বিজেএসএ’র নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ইত্তেফাক।।
কৃষির আরো খবর জানতে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিনঃকৃষিসংবাদ.কম