মোঃ মোশারফ হোসেন, নকলা (শেরপুর) :
ব্যস্ততা বাড়ছে বিএডিসি কর্মকর্তাদের
দফায় দফায় বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারনে একটু দেরিতে আলু আবাদ করা হয়েছে। তার পরেও শেরপুরের নকলা উপজেলার যে দিকে চোখ যায় শুধু আলু ক্ষেত আর আলু ক্ষেত চোখে পড়ে। আলু গাছের সবুজে যেন ছেয়ে গেছে সারা উপজেলা। আলু গাছের চেহেরা দেখে ভালো ফলনের আশায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। তাদের ধারনা গত প্রাকৃতিক কারনে বিভিন্ন ক্ষতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন। শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে আলু ক্ষেতের ঝুঁকি। তাই চাষিদের পরামর্শ সেবা দানে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন বিএডিসি হিমাগার কর্মকর্তাগন।
চলতি মৌসুমে বিএডিসি’র আওতায় রোপনকৃত আলুর বাম্পার ফলনের আশা করা হচ্ছে। বিএডিসি নকলা হিমাগারের উপ-পরিচালক (টিসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলায় ২৫ টি ব্লকে গড়ে দুইজন করে মোট ৫০ জন আলু চাষী নির্বাচন করে ৩০০ একর জমিতে ২০৪ মেট্রিকটন বিএডিসি’র আলু বীজ লাগানো হয়েছে। কৃষকদের পরামর্শ ও আলুর মাঠ পরিদর্শনে তারা যেন যান্ত্রিক জীবন কাটাচ্ছেন। দিনের বেলায় তাদের একটু বিশ্রামের সুযোগ নেই। কৃষকরা মোবাইলে তাদের পরামর্শ নিতে ফোন করেন, আর তখনই তাঁরা ছুটে যান ওই কৃষকের আলু মাঠে। বিএডিসি হিমাগার কর্মকর্তাদের সেবায় মহাখুশি আলু চাষিরা।
সম্প্রতি বিএডিসি ঢাকার এজিএম (সিডিপি ক্রপস) মোঃ মিজানুর রহমানসহ বিএডিসি ঢাকা’র উপ-পরিচালক (মান নিয়ন্ত্রন) এএইচএম খাইরুল আলম শামীম ও তাদের সফর সঙ্গীগন সম্প্রতি নকলার বিএডিসি’র সব আলু মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তাছাড়া বিএডিসি নকলা হিমাগার’র উপ-পরিচালক (টিসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান দৈনন্দিন রুটিন অনুযায়ী মাঠ পরিদর্শন করে যাচ্ছেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ সেবাদান দিচ্ছেন।
অন্যদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন কবীর জানান, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের আওতায় উপজেলায় ৩ হাজার ৬২৫একর জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। ডায়মন্ড, গ্র্যানুলা ও কার্ডিনাল জাতের আলুই বেশি বপন করা হয়েছেবলে তিনি জানান। চলতি বছর উপজেলায় এক হাজার ৮০০ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে।
আলু চাষিরা জানান, বিএডিসি হিমাগার কর্মকর্তা এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগন নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন ও তাদের পরামর্শ সেবা দেওয়ায় তারা ফি-বছর আলু চাষে লাভবান হচ্ছেন।