ফলও খেতে হবে
নাহিদ বিন রফিক (বরিশাল): শুধু ভাত নয়, পাশাপাশি ফলও খেতে হবে । যদিও আমরা দানাশস্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে ফলের চাহিদার শতকরা ৬০ ভাগই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। তাই এর উৎপাদন বাড়াতে হবে আরো। সে ক্ষেত্রে আমের ভূমিকা অনন্য। আর তা বাস্তবায়নে বারি উদ্ভাবিত জাতগুলো কৃষকের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। আজ বরিশালের রহমতপুরস্থ আরএআরএস হলরুমে আম উৎপাদনের আধুনিক কৌশল শীর্ষক দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের(বারি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার এসব কথা বলেন।
আম উৎপাদনের আধুনিক কৌশল শীর্ষক দিনব্যাপী এক কৃষক প্রশিক্ষণ আজ রহমতপুরস্থ আরএআরএস ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার।
তিনি বলেন, একজন পূর্ণ বয়ষ্ক লোকের দৈনিক ২০০ গ্রাম ফল খাওয়া দরকার। আমরা খেতে পাই মাত্র ৮২ গ্রাম। এ ঘাটতি পূরণের জন্য ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে। আর আম হতে পারে এর অন্যতম উৎস। তবে সে ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রয়োজন উন্নত জাত ব্যবহার।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. গোলাম কিবরিয়া।
বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শরফ উদ্দিন, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। প্রশিক্ষণে বরিশালের বাবুগঞ্জ এবং উজিরপুর উপজেলার ৪০ জন কৃষাণ-কৃষাণী অংশগ্রহণ করেন।