Site icon

নকলায় চলতি মৌসুমে বিএডিসি’র আওতায় রোপনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শন


মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি:
আলু ক্ষেত পরিদর্শন ঃশেরপুরের নকলা উপজেলায় চলতি মৌসুমে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)’র আওতায় রোপনকৃত আলু ক্ষেত পরিদর্শন করেছেন বিএডিসি ঢাকা’র যুগ্মপরিচালক (মান নিয়ন্ত্রণ) কৃষিবিদ সুভাশ চন্দ্র ঘোষ।
২০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শেরপুর জোনের বীজ আলুর বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন কালে তাঁর সাথে ছিলেন, বিএডিসি নকলা হিমাগারের উপ-পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম, উপ-সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৫ টি ব্লকে প্রায় অর্ধশত আলু চাষীকে নির্বাচন করে ৩০০ একর জমিতে দুইশতাধিক মেট্রিকটন বিএডিসি’র আলু বীজ লাগানোর শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক চাষীর ক্ষতের আলু গজিয়ে মাটির উপরে উঠে এসেছে।
এবছর প্রতি একরে ৬ মেট্রিকটন করে আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তাতে করে নকলা উপজেলায় মোট একহাজার ৮০০ মেট্রিকটন বিএডিসি’র আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে নকলা উপজেলায় কর্মরত বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। গত বছর ৩০০ একর জমিতে বিএডিসি’র আলু চাষে উৎপাদন ছিল একহাজার ৬৫০ মেট্রিকটন।
উপ-সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. মিজানুর রহমান জানান, গত বছর বিএডিসি’র আওতায় ২৫ টি ব্লকে আলুচাষ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ডায়মন্ড, গ্র্যানুলা ও কার্ডিনাল জাত বেশি চাষ করা হয়েছিল।
উপ-পরিচালক (টিসি) কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিএডিসি’র আওতায় কৃষকের উৎপাদিত আলু গ্রেডিং করার পর ন্যায্য মূল্যে কিনে নিয়ে হিমাগারে সংরক্ষণ করেছিলেন বিএডিসি কর্তৃপক্ষ। এবছর হিমাগারে সংরক্ষিত ওই আলুবীজ সরকারের নির্ধারিত মূল্যে কৃষকদের কাছে বিক্রি করা হয়। তাতে ভালোমানের আলুবীজ কিনা এবং তাদের উৎপাদিত আলু বিক্রি করায় দুই দিকেই লাভবান হন আলু চাষিরা। তিনি আরও জানান, আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক পরিবেশ আলু চাষের অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলন হবে। 

Exit mobile version