ইঁদুর নিধন
মো. মোশারফ হোসেন, শেরপুর প্রতিনিধি:
‘আসুন সম্পদ ও ফসল রক্ষায় সম্মিলিতভাবে ইঁদুর নিধন করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান চলেছে। এর অংশ হিসেবে ২৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) শেরপুরের নকলা উপজেলায় ইঁদুর নিধন অভিযান-২০১৯ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, নকলার আয়োজনে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালীর পরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ্ মো. বোরহান উদ্দিন। কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৈয়দ রায়হানুল হায়দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রোকসানা নাসরিন।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সারোয়ার আলম তালুকদার ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. ফরিদা ইয়াছমিন; উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, জেলা পরিষদের সদস্য ছানোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক আলমগীর আজাদ, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ফকির মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন, উপসাহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি বিষয়ক কবি আব্দুল হালিম ও ২০০৯ সালে ইঁদুর নিধনে জাতীয় পদক প্রাপ্ত ফুলপুরের ক্বারী মোহাম্মদ ফজলুল হক আকন্দ প্রমুখ।
এসময়, উপসাহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন, মশিউর রহমান, আশরাফুল আলমসহ বিভিন্ন ব্লকে কর্মরত অন্যান্য উপসাহকারী কৃষি কর্মকর্তা, কম্পিউটার অপারেটর কাম মুদ্রাক্ষরিক মো. রাশেদুল ইসলামসহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক কৃষাণী, বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, ইঁদুর বছরে কৃষকদের যে পরিমাণ খাদ্য শস্য, শাক-সবজী ও গৃহস্থালী সামগ্রী নষ্ট করে, তা অকল্পনীয় ও অপূরনীয়। তাই কৃষকদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে ও ইঁদুর নিধন অভিযানে সকল কৃষকদের সংশ্লিষ্ট করতে প্রতিবছর সরকারি ভাবে তথা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে কৃষকদের অংশ গ্রহনে জাতীয় ইঁদুর নিধন অভিযান পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের আগষ্ট মাস থেকে ‘ভূরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যান সংস্থা’র সদস্যরা ইঁদুর নিধন শুরু করে ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত ১৬ হাজার ৬৫৪ টি ইঁদুর মেরে জেলাব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন। ভূরদী খন্দকারপাড়া কৃষিপণ্য উৎপাদক কল্যাণ সংস্থার মতো বিভিন্ন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত কৃষক সংগঠন ও মাঠ স্কুলের সদস্যরা ইঁদুর নিধনের কাজ হাতে নিয়েছেন বলে অনেক কৃষি সংগঠনের সদস্যরা জানান।