Site icon

শেরপুরের নকলায় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে শাক-সবজির বীজ বিতরণ

কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে

কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে

মো. মোশারফ হোসাইন, শেরপুর প্রতিনিধি:

কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে: কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দেশের আবাদ যোগ্য কিন্তু অনাবাদি রয়েছে এমন প্রতি ইঞ্চি জমি কৃষি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে শেরপুরের নকলায় কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

৭ মে বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলা কৃষি অফিসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পৌরসভার রিহিলা গ্রামে ১০ কৃষক-কৃষাণীর মাঝে খরিপ-১ মৌসুমের জন্য অবাদ যোগ্য লাউ, ডাটা, ঢেঁরস, চিচিঙ্গা, লালশাক ও কলমি শাকসহ বিভিন্ন শাক-সবজির বীজ বিতরণ করা হয়। এসময় উপজেলা কৃষি অফিসার (ইউএও) কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার (এএও) কৃষিবিদ রোকসানা নাসরিন, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরণ কর্মকর্তা (এসএপিপিও) ফকির মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (এসএএও) এম.এ সামাদসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিত করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষক কৃষাণীর হাতে এসব বীজ তুল দেওয়া হয়।

চলমান ক্রান্তিকালে কৃষি অর্থনীতিকে স্বাভাবিক রাখতে করোনা যুদ্ধের অগ্র সৈনিক বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তারা বিশেষ ভুমিকা পালন করছেন। এই পরিস্থিতিতে দেশের কৃষি অর্থনীতিকে উজ্জীবিত করতে মাঠ পর্যায়ের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন স্তরের কৃষি কর্মকর্তাদের ভূমিকা অবর্ননীয়। করোনার কারনে পুরোদেশ থমকে গেলেও কৃষিকাজ যেন থেমে না থাকে এবং কৃষি উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে সে জন্য ফসলের মাঠের আসল নায়ক কৃষকের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে তাদের মনোবল সুদৃঢ় করে চলছেন বিভিন্ন স্তরের কৃষি অফিসারগন। শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা কৃষি অফিসের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় উপজেলায় অন্তত ৪ শতাধিক কৃষকরে মাঝে বিনামূল্যে শাক সবজির বীজ বিতরণ করা হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস জানান, গত বছর উপজেলায় ৮২০ হেক্টর জমিতে শাক সবজি চাষ করা হয়েছে। কিন্তু কৃষি বান্ধব সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মোতাবেক দেশের আবাদ যোগ্য কিন্তু অনাবাদি রয়েছে এমন প্রতি ইঞ্চি জমিকে কৃষি আবাদের আওতায় আনার লক্ষ্যে তাঁরা মাঠে কাজ করে চলছেন। এর ফলে খরিপ-১ মৌসুমেই উপজেলার অন্তত ৩৫০ হেক্টর জমিতে শাক সবজির আবাদ বেড়ে তা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২০০ হেক্টরে। আগামী মৌসুম থেকেও এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস। কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, অনাবাদি জমিকে আবাদি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত আমরা সকল স্তরের কৃষি অফিসারগন নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আবাদি জমি বাড়াতে তথা আবাদ যোগ্য প্রতি ইঞ্চি জমিকে আবদের আওতায় আনতে কৃষকদের মাঝে সার, বীজ ও বিভিন্ন প্রণোদনা দেওয়াসহ কৃষকদেরকে নানা ভাবে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Exit mobile version